সেনাপতি (মণিপুর), 15 জানুয়ারি: কংগ্রেস মণিপুরের জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং রাজ্যটিকে তারা আবারও শান্তিপূর্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ করতে চায় ৷ সোমবার কংগ্রেসের ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রার দ্বিতীয় দিনে জনগণের সঙ্গে আলাপচারিতায় এ কথাই তুলে ধরলেন দলের প্রাক্তন প্রধান রাহুল গান্ধি ৷
আজ সকালে একটি ভলভো বাসে যাত্রা শুরু করলেও স্থানীয় মানুষের সঙ্গে দেখা করার জন্য বেশ কিছুটা দূরত্ব পায়ে হেঁটেও সফর করেন রাহুল গান্ধি ৷ এলাকার মানুষের সমস্যার কথা জানতে চান তিনি । বহু ব্যস্ত পথ ধরে এগিয়েছে রাহুলের বাস ৷ ঘন কুয়াশা ও কড়া শীত উপেক্ষা করে লাইন দিয়ে তা দেখতে রাস্তার ধারে ভিড় জমান মহিলা ও শিশুরা-সহ অনেকেই ৷
সেনাপতি এলাকায় তাঁর বাসের উপর থেকে জনগণের উদ্দেশে রাহুল বলেন যে, কংগ্রেস কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত একটি যাত্রা করেছিল এবং ধারণাটি ছিল ভারতের মানুষকে একত্রিত করা । তিনি বলেন, "এটি একটি অত্যন্ত সফল যাত্রা, যেখানে আমরা 4,000 কিলোমিটার পথ হেঁটেছি । আমরা পূর্ব থেকে পশ্চিমে আরেকটি যাত্রা করতে চেয়েছিলাম এবং আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে, সবচেয়ে শক্তিশালী হবে মণিপুর থেকে যাত্রা শুরু করা, যাতে ভারতের জনগণ বুঝতে পারেন যে মণিপুরের লোকেরা কী কষ্টের মধ্য দিয়ে গিয়েছেন । তাঁরা কতটা সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন ৷"
রাহুল আরও বলেন, "আমি বুঝতে পেরেছি যে আপনারা সাংঘাতিক ট্র্যাজেডির মুখোমুখি হয়েছেন, আপনাদের পরিবারের সদস্যদের হারিয়েছেন, সম্পত্তি হারিয়েছেন ৷ আমি আপনাদের জানাতে চাই যে, আমরা সবসময় সম্পূর্ণ রূপে আপনাদের পাশে দাঁড়িয়েছি ৷ আমরা মণিপুরে শান্তি ফিরিয়ে আনতে চাই । আমরা মণিপুরকে শান্তিপূর্ণ এবং আবার সুরেলা করতে চাই ৷"
রাজ্যে দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে মণিপুরের জনগণের সমস্যাগুলি জানতে পেরেছেন বলে জানান কংগ্রেস সাংসদ ৷ তিনি বলেন, "আমি আশা করি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মণিপুরে শান্তি ফিরে আসবে ৷" নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ এর আগে বলেছিলেন, "ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রার দ্বিতীয় দিন উজ্জ্বল এবং সকাল সাড়ে সাতটায় ক্যাম্পসাইটে সেবাদলের ঐতিহ্যবাহী পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিন শুরু হয় ৷ মণিপুরের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পতাকা উত্তোলন করেছেন ।" এই যাত্রা সেকমাই থেকে কাংপোকপি এবং তারপরে মণিপুরের সেনাপতি হয়ে, রাতে নাগাল্যান্ডে বিরতি নেবে ৷"
আরও পড়ুন: