রায়পুর, 10 ডিসেম্বর: বিষ্ণু দেও সাই হচ্ছেন ছত্তিশগড়ের নয়া মুখ্যমন্ত্রী ৷ রবিবার বিজেপি পরিষদীয় দলের নেতা হিসাবে বিষ্ণু দেও সাইয়ের নাম গৃহীত হয় ৷ আর মুখ্যমন্ত্রীর মুখ হিসাবে বিষ্ণু দেও সাইয়ের নাম সামনে এনে আদিবাসী এবং জনজাতি শ্রেণি নিয়ে কংগ্রেসকেও কার্যত মোক্ষম জবাব দিল গেরুয়া শিবির ৷
সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনের পর পদ্ম শিবির পাঁচ বছরের ব্যবধানে ক্ষমতায় ফিরেছে রাজ্যে ৷ আর গোটা নির্বাচনী প্রচারেই কংগ্রেস এবং বিজেপি দু'দলেরই বক্তব্যে বারবার উঠে এসেছে সমাজে অনগ্রসর এবং জনজাতি শ্রেণির প্রসঙ্গ ৷ কংগ্রেসের তরফে যখন পিছিয়ে পড়া শ্রেণির মানুষকে বিজেপি জায়গা দেয় না বলে আক্রমণ করা হয়, ঠিক অন্যদিকে ভোটের ফল প্রকাশের পর খোদ প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সিংহভাগ জুড়েই ছিল সেই অনগ্রসর শ্রেণির মানুষের কথাই ৷ এরপর কার্যত তা হাতে-কলমে করে দেখাল বিজেপি ৷ রবিবার দলের রাজ্য সদর দফতরে 54 জন নব-নির্বাচিত দলীয় বিধায়কদের বৈঠকের পর রাজ্য বিজেপির পরিষদীয় দলের নেতা নির্বাচিত করা হয় বিষ্ণু দেও সাইকে ৷
বিষ্ণু দেও সাই এদিন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং দলের অন্যান্য নেতৃত্বকে ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য তাঁর নাম প্রস্তাব করায় ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এদিন বিষ্ণু দেও সাই বৈঠকের পরে বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে, আমি সরকারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী মোদির গ্যারান্টি (বিজেপির প্রাক-নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি) পূরণ করার চেষ্টা করব ৷" তিনি বলেন, "18 লক্ষ ঘর (একটি আবাসন প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের জন্য) অনুমোদন করা হবে ৷ সেটাই হবে রাজ্য সরকারের প্রথম কাজ।"
বিষ্ণু দেও সাই রাজ্যের সুরগুজা বিভাগের কুঙ্কুরি আসন থেকে বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। বিজেপি এই অঞ্চলের 14টি আসনেই জিতেছে। রজ্যে বিজেপির তিন পর্যবেক্ষক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা, সর্বানন্দ সোনোয়াল এবং দলের সাধারণ সম্পাদক দুষ্মন্ত কুমার গৌতম এদিন নবনির্বাচিত দলের বিধায়কদের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। ছত্তিশগড়ের বিজেপির ইনচার্জ ওম মাথুর, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য এবং রাজ্য দলের সহ-ইনচার্জ নীতিন নবীনও উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, রাজ্যের মোট 90টি বিধানসভা আসনের মধ্যে 54টিতেই জিতেছে বিজেপি।
(পিটিআই)
আরও পড়ুন: