দেরাদুন, 9 মার্চ: উত্তরাখণ্ডের উপর থেকে সরানো যাচ্ছে না চিন্তার মেঘ ৷ ইসরো ও ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টারের সমীক্ষা সেই চিন্তা আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে ৷ ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ধসের যে মানচিত্র (Landslide Atlas) প্রকাশ করেছে, তাতে 17টি রাজ্যের ভূমিধস-প্রবণ এলাকা এবং হিমালয় ও পশ্চিম ঘাটের দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ।
সেই তালিকায় উত্তরাখণ্ডের দুটি জেলা দেশের 147টি সংবেদনশীল জেলার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে (Rudraprayag and Tehri top landslide risk districts)। এর আগে কার্টোস্যাট-2এস স্যাটেলাইটের ছবি প্রকাশের সময় ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টার প্রথমবারের মতো জানিয়েছিল যে, জোশীমঠ শহর কী গতিতে ধসের কবলে ধ্বংস হতে বসেছে ।
ইসরোর সাম্প্রতিক সমীক্ষা অনুসারে, রুদ্রপ্রয়াগ এবং তেহরি জেলাগুলি শুধুমাত্র উত্তরাখণ্ডে নয়, সমগ্র ভারতে ভূমিধসের ঝুঁকির মুখে রয়েছে । রুদ্রপ্রয়াগ জেলা হল কেদারনাথ এবং বদ্রীনাথ ধামের প্রবেশদ্বার । এর পাশাপাশি রুদ্রপ্রয়াগ জেলায় ভারতে ভূমিধসের ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি । এছাড়াও এখানে মোট জনসংখ্যা, কর্মক্ষম জনসংখ্যা, সাক্ষরতা এবং বাড়ির সংখ্যাও সর্বাধিক (ISRO Uttarakhand Latest News Update)৷
ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টার প্রকাশ করেছে যে, উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপ্রয়াগ ও তেহরি জেলায় দেশের সর্বোচ্চ ভূমিধসের ঘনত্ব রয়েছে । 1988 সাল থেকে 2022 সালের মধ্যে 17টি রাজ্যের 147টি জেলায় এবং দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে 80,933টি ভূমিধস হয়েছে বলে রেকর্ড করেছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা ৷ সেই রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে এনআরএসসি-র বিজ্ঞানীরা ভারতের ভূমিধসের মানচিত্র তৈরির জন্য ঝুঁকির মূল্যায়ন করেছেন ।
আরও পড়ুন: জোশীমঠ ধস ম্যানমেড ! জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণার দাবি একাধিক সংগঠনের
উল্লেখ্য, বর্তমান পরিস্থিতিতে জোশীমঠ উত্তরাখণ্ড সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসাবে দেখা দিয়েছে । জোশীমঠের পাশাপাশি উত্তরাখণ্ডের বিভিন্ন এলাকায় ভূমি ধসেরবহু ঘটনা সামনে এসেছে । জোশীমঠের মতোই কর্ণপ্রয়াগের অবস্থাও আশংকাজনক । সম্প্রতি বহুগুনা নগরের উপরের অংশে এবং বদ্রীনাথ হাইওয়ের কাছে অবস্থিত আইটিআই এলাকার সবজি মান্ডিতেও ফাটল দেখা গিয়েছে । সমীক্ষকদের পরিদর্শনকালে 25টিরও বেশি বাড়িতে বড় ফাটল দেখা গিয়েছে । এর মধ্যে 8টি বাড়িকে অত্যন্ত বিপজ্জনক ঘোষণা করা হয়েছে ৷ সেই বাড়িগুলিকে খালি করে দেওয়া হয়েছে ।