লখনউ, 5 অক্টোবর : একদিন আটক করার পর অবশেষে গ্রেফতার করা হল কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধি বঢরাকে (Priyanka Gandhi Vadra) ৷ লখিমপুরে যাওয়ার পথে গতকাল সীতাপুরে তাঁকে আটক করা হয় ৷ সেখানে একটি গেস্ট হাউসে তাঁকে গৃহবন্দি করে রাখা হয় ৷ সেই অবস্থাতেই তিনি টুইট করে মোদির বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন ৷ অবশেষে আজ ভোরে প্রিয়াঙ্কা গান্ধিকে গ্রেফতার করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ ৷
প্রিয়াঙ্কা-সহ 11 জন কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে 144 ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগে এফআইআর দায়ের হয়েছে বলেও সংবাদসংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে ৷ গ্রেফতার করে রাজীব কন্যাকে রাখা হয়েছে সীতাপুরের গেস্ট হাউসে ৷ ওই গেস্ট হাউসকেই অস্থায়ী কারাগারে পরিণত করা হয়েছে ৷ মঙ্গলবার ভোর সাড়ে চারটের সময় কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কাকে গ্রেফতার করে যোগীর রাজ্যের পুলিশ ৷ তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির 151 ও 107 নম্বর ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে ৷
পাশাপাশি প্রিয়াঙ্কা গান্ধির উপর ড্রোনে নজরদারি চালানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ এনে সরব হয়েছে কংগ্রেস। উত্তরপ্রদেশে সীতাপুরে আটক থাকা প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর উপর কারা এই নজরদারি চালাচ্ছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল ৷
এই সংক্রান্ত খবর : ভয় পাওয়ার পাত্রী নন আসল কংগ্রেসি প্রিয়াঙ্কা, বোনের পাশে দাঁড়িয়ে টুইট রাহুলের
সোমবার ভোরে লখিমপুর খেরির দিকে রওনা দিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধি। কিন্তু তাঁকে মাঝপথে আটক করে যোগী রাজ্যের পুলিশ। সীতাপুর জেলার হরগাঁও থেকে প্রিয়াঙ্কাকে আটক করা হয়। কিন্তু তখনই পুলিশের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে আটক করার অভিযোগ তুলেছিলেন কংগ্রেস নেত্রী ৷ আটক করার পর প্রিয়াঙ্কা গান্ধিকে পিএসি গেস্ট হাউসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই 30 ঘণ্টার বেশি আটক ছিলেন কংগ্রেস নেত্রী। প্রিয়াঙ্কার মুক্তির দাবিতে গেস্ট হাউসের বাইরে অপেক্ষা করছিলেন কয়েকশো কংগ্রেস কর্মী ৷ আটক থাকা অবস্থাতেই প্রিয়াঙ্কা জানান, ছাড়া পাওয়ার পর তিনি খেরিতে শোকাহত কৃষক পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন। কিন্তু মঙ্গলবার ভোরেই তাঁর গ্রেফতার করা হয় ৷