লখনউ, 7 ডিসেম্বর: তাঁদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, কাজে অবহেলা এবং দুর্নীতির অভিযোগ ৷ বুধবার এমনই একাধিক আধিকারিককে বরখাস্ত করল যোগী আদিত্যনাথ সরকার ৷ এর মধ্যে রয়েছেন মুজাফফরনগরের একত্রীকরণ অফিসার অনুজ সাক্সেনা ৷ তিনি ঠিকমতো দায়িত্ব পালন না করায় তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর । সরকার একত্রীকরণ অফিসার শিবশংকর প্রসাদ সিংয়ের বার্ষিক বেতন বৃদ্ধিও আটকে রেখেছে ৷ তিনি বালিয়াতে কর্মরত ছিলেন এবং মেরঠে কর্মরত সহকারী একত্রীকরণ অফিসার মনোজ কুমার নীরজের পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছিলেন । রাজ্য পুলিশকেও পরবর্তীতে তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর করার নির্দেশ দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে ।
একত্রীকরণ কমিশনার জিএস নবীন কুমার বলেন, "আমরোহার সহকারী একত্রীকরণ অফিসার নীতিন চৌহানের বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে । ইটাওয়া জেলার বানি গ্রামে কাজে অনিয়মের অভিযোগে একত্রীকরণ অফিসার অবধেশকুমার গুপ্তের পাশাপাশি সহকারী একত্রীকরণ অফিসার সন্তোষকুমার যাদব এবং অখিলেশ কুমারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থাও শুরু করা হয়েছে ।"
সূত্রের খবর, লেখপালের একত্রীকরণ অফিসার ওম নারায়ণকেও বরখাস্ত করা হয়েছে ৷ নবীনকুমার জানান, রাজ্যের সমস্ত একত্রীকরণ কর্তৃপক্ষকে তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে । একত্রীকরণ কমিশনার বলেছেন, "2023-24 অর্থ বছরে এখন পর্যন্ত মোট 1 লক্ষ 34 হাজার 425টি মামলা নিষ্পত্তি করা হয়েছে । এ পর্যন্ত, 2023-24 অর্থবছরে মোট 231টি গ্রামের একত্রীকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে এবং ভূমি একত্রীকরণ আইনের 52 (1) ধারার অধীনে ঘোষণা করা হয়েছে ।"
তিনি আরও বলেন, "ভূমি একত্রীকরণ আইনের 6(1) ধারায় একত্রীকরণ প্রক্রিয়া থেকে এই গ্রামগুলোকে বাদ দেওয়া হয়েছে । যেসব গ্রামে একত্রীকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে এবং ধারা 52(1) জারি করা হয়েছে, সেখানে রাজস্ব ও একত্রীকরণ কর্তৃপক্ষের পরিদর্শনের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা হচ্ছে । একত্রীকরণ বিভাগের মতো, বিদ্যুৎ বিভাগেও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ।"
এছাড়াও, ক্ষমতা বা পদের অপব্যবহারের প্রতি মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের জিরো-টলারেন্স নীতি মেনে সরোসা ফতেহগঞ্জের এসডিও আমান তিওয়ারিকে মঙ্গলবার বরখাস্ত করা হয়েছে । তিনি তাঁর পদের অপব্যবহার করেছেন এবং অধিদফতরের তহবিল আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে । এছাড়া তাঁর এলাকার তিন থেকে চারটি বাড়িতে অতিরিক্ত দেড়শো থেকে তিনশো মিটার বেআইনিভাবে কেবল টানিয়ে বিদ্যুৎ চুরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে । জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র 40 মিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার নিয়ম রয়েছে ৷ সেই নিয়োম লঙ্ঘন করে তিনি মানুষের জীবন নিয়ে খেলা করেছেন বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।
(সংবাদ সংস্থা- এএনআই)
আরও পড়ুন: