নয়াদিল্লি, 20 জুলাই: আজ থেকে সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু হয়েছে ৷ প্রথম দিনেই মণিপুর ইস্যুতে উত্তাল রাজ্যসভা ৷ দুপুর 2টো পর্যন্ত মুলতুবি করা হয়েছে উচ্চকক্ষের অধিবেশন ৷ বৃহস্পতিবার বিরোধী দলগুলি মণিপুর নিয়ে আলোচনার দাবি তোলে ৷ তাতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্যসভা। উপ-রাষ্ট্রপতি তথা চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড় দুপুর 2টো পর্যন্ত মুলতুবি ঘোষণা করেন ৷ লোকসভার অধিবেশনও দুপুর 2টো পর্যন্ত মুলতুবি হয়ে যায় ৷
বৃহস্পতিবার সকালে চলতি লোকসভার দু'জন এবং 11 জন প্রাক্তন সাংসদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দুই কক্ষেই মুলতুবি ঘোষণা করা হয় ৷ এঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ সিং বাদল ৷ লোকসভা দুপুর 2টো পর্যন্ত এবং রাজ্যসভায় দুপুর 12টা পর্যন্ত মুলতুবি হয়ে যায় ৷ এরপর রাজ্যসভার অধিবেশন শুরু হলে বিরোধী দলগুলি সংবিধানের 267 নম্বর ধারার অধীনে মণিপুরের হিংসাত্মক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার দাবি তোলে ৷ তাতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে অধিবেশন ৷ চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড় 8 সদস্যের নোটিশ গ্রহণ করে অল্প সময়ের জন্য আলোচনার কথা জানান ৷
রাজ্যসভার নেতা পীযূষ গোয়েল জানান, সরকার এই আলোচনা করতে তৈরি ৷ এর বিরোধিতা করবে না বিজেপি সরকার ৷ এরপরই রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে আপত্তি জানান ৷ তিনি দাবি তোলেন, রাজ্যসভার অন্য সমস্ত বিষয়গুলিকে মুলতুবি করতে হবে ৷ 267 ধারার আওতায় মণিপুর নিয়ে আলোচনা করা হোক ৷ তিনি রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে প্রশ্ন করেন, "হঠাৎ কীভাবে রাজ্যসভার নেতা উঠে দাঁড়িয়ে বলেন যে আমরা আলোচনার জন্য প্রস্তুত ? আমরা 267 ধারার অধীনে নোটিশ দিয়েছি ৷ রাজ্যসভার অন্য সব কাজকর্ম সাসপেন্ড করতে হবে ৷ প্রধানমন্ত্রী তাঁর বিবৃতি দিন ৷ তারপর আমরা আলোচনা করব ৷"
আরও পড়ুন: 'সরকার কিছু না করলে আমরাই পদক্ষেপ করব', মণিপুর নিয়ে কড়া অবস্থান দেশের প্রধান বিচারপতির
তৃণমূলের লোকসভা সাংসদ ডেরেক ও' ব্রায়েনও একই সুরে দাবি করেন, সংসদে মণিপুর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর নীরবতা ভাঙুন ৷ তিনিও জোর দেন তাঁদের নোটিশ আগে গ্রহণ করতে হবে ৷ এরপরই তৃণমূল, কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলির নেতারা মণিপুর ইস্যুতে চেঁচামেচি করতে থাকেন ৷ তখন উপ-রাষ্ট্রপতি তথা চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড় রাজ্যসভায় দুপুর 2টো পর্যন্ত মুলতুবি ঘোষণা করেন ৷