লখনউ, 31 মে : ফের কাঠগড়ায় উত্তরপ্রদেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ৷ প্রকাশ্যে এল মর্মান্তিক এক দৃশ্য ৷ ঘটনাটি ঘটেছে যোগীরাজ্যের বারাবাঁকি জেলায় ৷ রাজধানী লখনউ থেকে যার দূরত্ব মেরেকেটে 40 কিলোমিটার ৷ সামনে আসা একটি ভিডিয়ো ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, স্থানীয় একটি সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বাইরে পাঁচ মাসের সন্তানের দেহ কোলে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন অসহায় বাবা ৷ তাঁর অভিযোগ, দু’ঘণ্টা অপেক্ষার পরও কোনও চিকিৎসক তাঁর সন্তানের স্বাস্থ্য পরীক্ষাটুকুও করেননি ৷ শেষমেশ প্রাণ দিয়ে যার খেসারত দিতে হয় একরত্তিকে ৷
প্রশাসনের তরফে অবশ্য় শিশুর বাবার তোলা অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে ৷ জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বিকেএস চৌহান এই বিষয়ে একটি প্রেস বিবৃতিও দিয়েছেন ৷ তাতে দাবি করা হয়েছে, হাসপাতালে আনার আগেই মৃত্য়ু হয়েছিল শিশুটির ৷ পাঁচ মাসের ছোট্ট মেয়েটিকে হাসপাতালে আনার পরই তাকে পরীক্ষা করে দেখেন জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ৷ তখনই তিনি শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন ৷ বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে শিশুটির মৃত্য়ু হয় বলে দাবি করেছেন চৌহান ৷ শিশুটির মা-বাবার কাছ থেকেই এই তথ্য মিলেছে বলে জানিয়েছেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ৷
আরও পড়ুন : ছোটদের জন্য এত এত কাজ, কেন ? মোদিকে ভিডিয়োয় নালিশ শিশুকন্যার
যদিও শিশুটির বাবার পাল্টা দাবি, তাঁদের মেয়ে খাট থেকে মেঝেয় পড়ে গিয়েছিল ৷ কিন্তু করোনার ভয়ে চিকিৎসকরা তাকে ছুঁয়ে পর্যন্ত দেখেননি ৷ এ নিয়ে পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে বাদানুবাদেও জড়ান শিশুটির বাবা ৷ পরে সেই ঘটনার ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে সোশ্য়াল মিডিয়ায় ৷ প্রসঙ্গত, রবিবার সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় বারাবাঁকির সিরৌলি গউসপুরের সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ৷ উল্লেখ্য, এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মৃদু উপসর্গ থাকা করোনা রোগীদের জন্য 100 শয্যার একটি কোভিড বিভাগও রয়েছে ৷