উন্নাও, 18 জানুয়ারি: উন্নাও ধর্ষণ কাণ্ডে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কুলদীপ সেঙ্গারের প্যারোল মঞ্জুর করেছে দিল্লি হাইকোর্ট ৷ তারপরেই সাক্ষীদের হুমকি দেওয়া এবং প্রাণনাশের আশঙ্কা করলেন উন্নাওয়ের নির্যাতিতা (Unnao Rape Victim Fears Intimidation) ৷ তিনি সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন জানিয়েছেন, কুলদীপ সেঙ্গারকে হেফাজতে রাখা হোক ৷ এই বিষয়ে তিনি একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করেছেন ৷ তাতে নির্যাতিতার আবেদন, সাজাপ্রাপ্ত প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ককে সিবিআই-এর নজরদারিতে দিল্লি পুলিশের হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিক শীর্ষ আদালত ৷
উল্লেখ্য, মেয়ের বিয়েতে সামিল হওয়ার জন্য, মঙ্গলবার কুলদীপ সেঙ্গারের 15 দিনের প্যারোল মঞ্জুর করেছে দিল্লি হাইকোর্ট (Convict Kuldeep Sengar Gets 15 Days Parole) ৷ আগামী 27 জানুয়ারি থেকে 10 ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাঁকে শর্তসাপেক্ষে প্যারোল মুক্তি দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ৷ বলা হয়েছে, স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে এই 15দিন রোজ হাজিরা দিতে হবে সেঙ্গারকে ৷ এবং দু’দফায় 1 লক্ষ টাকা করে জমা দিতে হবে ৷ কিন্তু, সেঙ্গারের প্যারোল মঞ্জুর হতেই আতঙ্কিত উন্নাও কাণ্ডের নির্যাতিতা ৷
তিনি একটি ভিডিয়ো-তে সুপ্রিম কোর্টকে করা আবেদনে বলেছেন, "দিল্লি হাইকোর্ট কুলদীপ সেঙ্গারের প্যারোল মঞ্জুর করার পর, আমার সাক্ষী এবং আইনজীবীদের প্রাণ সংকটে রয়েছে ৷ তাঁকে জেল থেকে বের করে সিবিআই-এর নজরদারিতে দিল্লি পুলিশের হেফাজতে রাখা হোক ৷ কারণ, ও নিজের মেয়ের বিয়েতে 15 দিনের জন্য যাচ্ছে ৷ এই সময়ে আমার সব সাক্ষী এবং আইনজীবীদের ও মেরে ফেলতে পারে ৷ আমার আবেদন মঞ্জুর করলে আমি সকলের কাছে কৃতজ্ঞ থাকব ৷"
উল্লেখ্য, উন্নাও ধর্ষণ কাণ্ডে 2019 সালের 20 ডিসেম্বর প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সেঙ্গারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় আদালত ৷ সেঙ্গারকে আদালত ভারতীয় দণ্ডবিধি 376 (ধর্ষণ) এবং 6 নং ধারায় (পকসো) দোষী সাব্যস্ত করে ৷ 2017 সালের 4 জুনের সেই ঘটনায় উত্তরপ্রদেশের উন্নাও জেলার বাঙ্গারমাউ বিধানসভার চারবারের বিধায়ক কুলদীপ সেঙ্গারের বিরুদ্ধে 17 বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে ৷
আরও পড়ুন: খাস কলকাতায় পানশালার গায়িকাকে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেফতার ব্যান্ডমাস্টার
এই ঘটনার পর নির্যাতিতার বাবাকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ ওঠে ৷ এমনকী বিচারবিভাগীয় হেফাজতে থাকাকালীন মৃত্যু হয় তাঁর ৷ সেই ঘটনায় 2020 সালের মে মাসে কুলদীপ সেঙ্গারকে 10 বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত ৷ নির্যাতিতার দুই আত্মীয়ের মৃত্যু হয় গাড়ি দুর্ঘটনায় ৷ একটি লরি দ্রুত গতিতে এসে তাঁদের গাড়িতে ধাক্কা মারে ৷ সেই গাড়িতে নির্যাতিতা এবং তাঁর আইনজীবীও ছিলেন ৷ তাঁরা দু’জন গুরুতর আহত হন ৷ পরবর্তী সময়ে নির্যাতিতাকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করা হয় ৷ এই ঘটনাতেও কুলদীপ সেঙ্গারের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ উঠেছে ৷ 2019 সালে বিজেপি তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করে ৷