নয়াদিল্লি, 17 জুন : করোনা সংকটের মধ্যে কৃষকদের স্বস্তির কথা শোনাল কেন্দ্রীয় সরকার ৷ বুধবার সারের দামে ভর্তুকির কথা ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ৷ মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত ডাই অ্যামোনিয়াম ফসফেট সারের পঞ্চাশ কেজি বস্তায় ভর্তুকির পরিমাণ পাঁচশো টাকা থেকে বাড়িয়ে বারোশো টাকা করা হল ৷ পাশাপাশি বর্তমান খরিফ মরশুম অবধি 2021-22-এর জন্য ফসফেট এবং পটাশ সারের জন্যও ভর্তুকির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এক সরকারী বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটি সার বিভাগের প্রস্তাবকে অনুমোদন দিয়েছে। অনুমোদিত দামগুলি ঘোষণার তারিখ থেকে কার্যকর হবে, যা 20 মে জারি করা হয়েছিল । সরকার এই ধরণের ব্যবস্থা করার জন্য, অতিরিক্ত ভর্তুকির অঙ্ক দাঁড়াবে প্রায় 14 হাজার 775 কোটি টাকা, এমনটাই বলা হয় কেন্দ্র সরকারের তরফে ৷
নিউট্রিয়েন্ট নাইট্রোজেন, পটাশ এবং সালফারের জন্য ভর্তুকির হার গত বছরের মতই 18.78টাকা/কেজি, 10.11 টাকা/কেজি এবং 2.37 টাকা/ রাখা হয়েছে । তবে ফসফরাসের ভর্তুকির হার কেজি প্রতি তিনগুণ বেড়ে 45.32 টাকা দাঁড়িয়েছে, যা গত বছর প্রতি কেজি 14.88 টাকা ছিল । সরকারের তরফে বলা হয়, করোনা আবহে মানুষের বিভিন্ন সমস্যা বিবেচনা করে বিশেষ ধরণের বিভিন্ন প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে । এই পদক্ষেপ এমন সময় গ্রহণ করা হয় যখন মূলত পঞ্জাবের কৃষকরা কেন্দ্রের নতুন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে দিল্লির সীমান্তে আন্দোলন করছেন । সরকারের তরফে এও বলা হয়, গত কয়েক মাসে বিশ্ব বাজারে পটাশ এবং ফসফরাস সারের কাঁচামালের আন্তর্জাতিক দাম অতিরিক্ত ভাবে বেড়েছে, তাই সরকার ইতিমধ্যেই কৃষকদের জন্যে চিন্তা ভাবনা শুরু করেছে ৷ প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে, সরকার সমস্ত সার প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলিকে কৃষকদের জন্য বাজারে এই সারগুলি পর্যাপ্ত পরিমাণে যেন পাওয়া যায়, তার জন্য নির্দেশিকা দিয়েছে ৷ পাশাপাশি সমস্ত সার প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলিকে তাদের পুরানো স্টক বিক্রি করতে বলেছে ৷
এবিষয়ে রসায়ন ও সার মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য বলেন, ‘‘সরকার প্রতি বছর 80 হাজার কোটি টাকা ইতিমধ্যেই ব্যয় করছে ৷ তার পাশাপাশি 14 হাজার 775 কোটি টাকা আরও অতিরিক্ত ধার্য করা হবে ৷ বিশ্ব বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সরকার ভর্তুকির কথা ঘোষণা করে, বিশ্ব বাজারে দাম কমলে ফের ভর্তুকি কমানোর কথা চিন্তা ভাবনা করা হবে ৷’’