ETV Bharat / bharat

Angul Inhuman Incident: অমিল অ্যাম্বুল্যান্স, বাইকে দেহ নিয়ে হাসপাতালে পরিজন - ওড়িশার বালাসিংহের শান্ত গ্রামে

Man's Body on Bike for 10km in Angul: অ্যাম্বুল্যান্স না পেয়ে বাইকে দেহ নিয়ে যেতে হল পরিবারকে ৷ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার বালাসিংহের শান্ত গ্রামে ৷ এই ঘটনায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে সোশাল মিডিয়ায় ৷

Angul Inhuman Incident
Angul Inhuman Incident
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Sep 13, 2023, 7:57 PM IST

আঙ্গুল (ওড়িশা), 13 সেপ্টেম্বর: মর্মান্তিক ! বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃতের দেহ হাসপাতালে নিয়ে যেতে অ্যাম্বল্যান্স পেলেন না পরিবারের সদস্যরা ৷ বাধ্য হয়ে 10 কিলোমিটার রাস্তা বাইকেই মৃতদেহ হাসপাতালে নিয়ে যেতে হল ৷ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওড়িশার বালাসিংহের শান্ত গ্রামে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে ।

মৃতের নাম দুয়ারি গুরু ৷ তাঁর বয়স হয়েছিল 60 বছর ৷ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গবাদি পশুর দেখাশোনা করতে চাষের খেত সংলগ্ন মাঠে যান ৷ সেখানেই বজ্রাঘাতে তাঁর মৃত্যু হয় ৷ এর পর দুয়ারি গুরুর বিপর্যস্ত পরিবারের সদস্যরা অবিলম্বে অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য জরুরি পরিষেবার 108 নম্বরে ডায়াল করেন ৷ কিন্তু আড়াই ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পরও অ্যাম্বুল্যান্স পৌঁছয় না ঘটনাস্থলে ৷

এর পর অসহায় পরিবার ঠিক করে যে দুয়ারির দেহ তারা নিজেদের উদ্যোগেই হাসপাতালে নিয়ে যাবে ৷ সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, একটি বাইকে দেহ নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে ৷ সেই দৃশ্য়ই কেউ কেউ ক্যামেরাবন্দি করেন ৷ তার পর তা ছড়িয়ে পড়ে সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে ৷ সেই ভিডিয়ো দেখে নিন্দার ঝড় উঠেছে ৷ সকলেই প্রশাসনের দিকেই আঙুল তুলেছেন এই ঘটনা নিয়ে ৷ গ্রামের দিকে স্বাস্থ্যব্যবস্থার বেহাল দশা এই ঘটনায় প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে ৷

নিহতের ক্ষুব্ধ স্বজনরা বলেন, "মঙ্গলবার বিকেল 4টের দিকে বজ্রপাতে দুয়ারি গুরু মারা যান । আমরা 108 নম্বরে ফোন করি ৷ যাতে একটি অ্যাম্বুল্যান্স পাওয়া যায়৷ দেহ জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্যই অ্যাম্বুল্যান্সে আনানোর চেষ্টা হয় । সন্ধ্যা সাড়ে 6টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেছিলাম, কিন্তু অ্যাম্বুল্যান্স পাইনি । অসহায় অবস্থায় আমাদের বাইকে করে দেহ নিয়ে যেতে হয়েছে ।"

এই নিয়ে প্রশাসনের কারও কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি ৷ তবে এই ধরনের ঘটনা ভারতে নতুন নয় ৷ অ্যাম্বুল্যান্স না পেয়ে বা অ্যাম্বুল্যান্সের টাকা দিতে না পারায় কাঁধে করে দেহ বহন করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনাও অতীতে দেখা গিয়েছে ৷ এই ঘটনা সেই তালিকায় নয়া সংযোজন ৷

আরও পড়ুন: আচমকা জঙ্গিদের গুলি, প্রাণ দিয়ে হ্যান্ডলারকে বাঁচাল বাহিনীর সারমেয় যোদ্ধা

আঙ্গুল (ওড়িশা), 13 সেপ্টেম্বর: মর্মান্তিক ! বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃতের দেহ হাসপাতালে নিয়ে যেতে অ্যাম্বল্যান্স পেলেন না পরিবারের সদস্যরা ৷ বাধ্য হয়ে 10 কিলোমিটার রাস্তা বাইকেই মৃতদেহ হাসপাতালে নিয়ে যেতে হল ৷ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওড়িশার বালাসিংহের শান্ত গ্রামে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে ।

মৃতের নাম দুয়ারি গুরু ৷ তাঁর বয়স হয়েছিল 60 বছর ৷ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গবাদি পশুর দেখাশোনা করতে চাষের খেত সংলগ্ন মাঠে যান ৷ সেখানেই বজ্রাঘাতে তাঁর মৃত্যু হয় ৷ এর পর দুয়ারি গুরুর বিপর্যস্ত পরিবারের সদস্যরা অবিলম্বে অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য জরুরি পরিষেবার 108 নম্বরে ডায়াল করেন ৷ কিন্তু আড়াই ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পরও অ্যাম্বুল্যান্স পৌঁছয় না ঘটনাস্থলে ৷

এর পর অসহায় পরিবার ঠিক করে যে দুয়ারির দেহ তারা নিজেদের উদ্যোগেই হাসপাতালে নিয়ে যাবে ৷ সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, একটি বাইকে দেহ নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে ৷ সেই দৃশ্য়ই কেউ কেউ ক্যামেরাবন্দি করেন ৷ তার পর তা ছড়িয়ে পড়ে সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে ৷ সেই ভিডিয়ো দেখে নিন্দার ঝড় উঠেছে ৷ সকলেই প্রশাসনের দিকেই আঙুল তুলেছেন এই ঘটনা নিয়ে ৷ গ্রামের দিকে স্বাস্থ্যব্যবস্থার বেহাল দশা এই ঘটনায় প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে ৷

নিহতের ক্ষুব্ধ স্বজনরা বলেন, "মঙ্গলবার বিকেল 4টের দিকে বজ্রপাতে দুয়ারি গুরু মারা যান । আমরা 108 নম্বরে ফোন করি ৷ যাতে একটি অ্যাম্বুল্যান্স পাওয়া যায়৷ দেহ জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্যই অ্যাম্বুল্যান্সে আনানোর চেষ্টা হয় । সন্ধ্যা সাড়ে 6টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেছিলাম, কিন্তু অ্যাম্বুল্যান্স পাইনি । অসহায় অবস্থায় আমাদের বাইকে করে দেহ নিয়ে যেতে হয়েছে ।"

এই নিয়ে প্রশাসনের কারও কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি ৷ তবে এই ধরনের ঘটনা ভারতে নতুন নয় ৷ অ্যাম্বুল্যান্স না পেয়ে বা অ্যাম্বুল্যান্সের টাকা দিতে না পারায় কাঁধে করে দেহ বহন করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনাও অতীতে দেখা গিয়েছে ৷ এই ঘটনা সেই তালিকায় নয়া সংযোজন ৷

আরও পড়ুন: আচমকা জঙ্গিদের গুলি, প্রাণ দিয়ে হ্যান্ডলারকে বাঁচাল বাহিনীর সারমেয় যোদ্ধা

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.