নয়াদিল্লি, 10 জুলাই: ভারত-ব্রিটেন বাণিজ্য-সম্পর্কিত প্রতিটি বৈঠকে পলাতক বিজয় মালিয়া ও নীরব মোদির প্রত্যর্পণের বিষয়টি উত্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ সূত্র মারফৎ এই খবর মিলেছে ৷ সূত্র আরও দাবি করেছে যে, বিজয় মালিয়া এবং নীরব মোদিকে প্রত্যর্পণ করার জন্য বারবার ব্রিটেন থেকে ভারতে আসা প্রতিনিধিদলগুলির উপর চাপ সৃষ্টি করেছে দিল্লি ৷
বেসরকারি ইংরেজি সংবাদমাধ্যম টাইমস নাও-কে দেওয়া একটি সাম্প্রতিক সাক্ষাত্কারে শীর্ষ আইনজীবী হরিশ সালভে বলেন, ব্রিটিশরা সর্বদা অভিযোগ করে যে যখনই প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁদের সঙ্গে কোনও বৈঠক করেন, তখনই প্রথম তিনি জিজ্ঞাসা করেন বিজয় মালিয়া ও নীরব মোদির প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়ার অগ্রগতি নিয়ে ৷ সালভের কথায়, "প্রধানমন্ত্রী মোদি ব্রিটিশ সরকারকে দৃঢ়ভাবে বলেছেন যে, আপনারা একইসঙ্গে বাণিজ্য ক্ষেত্রের অংশীদার এবং পলাতকদের আবাসস্থল হতে পারেন না ৷"
কিংফিশার এয়ারলাইন্সের চেয়ারম্যান বিজয় মালিয়াকে 2019 সালে ব্রিটিশ বিচার বিভাগ প্রত্যর্পণ করার আদেশ দিয়েছিল ৷ কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাঁকে ভারতে পাঠানো হয়নি । একইভাবে, 2019 সালে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে হিরে ব্যবসায়ী নীরব মোদি দক্ষিণ লন্ডনের ওয়ান্ডসওয়ার্থ সংশোধনাগারে আটক রয়েছেন । ভারত এবং ব্রিটেন 1992 সালে একটি প্রত্যর্পণ চুক্তি স্বাক্ষর করে । এটি পরের বছর অনুমোদন করা হয়েছিল এবং তখন থেকে তা কার্যকর হয়েছে । প্রতারণা এবং অর্থ পাচারের অভিযোগে ভারতে প্রত্যর্পণের বিরোধিতা করে ব্রিটেনের সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার আবেদন করেছিলেন পলাতক হিরে ব্যবসায়ী নীরব মোদি ৷ যদিও গত বছর ডিসেম্বরে তাঁর সেই আবেদন মানতে অস্বীকার করা হয় ।
আরও পড়ুন: হতাশ নীরব মোদি, ব্রিটিশ সুপ্রিম কোর্টে মামলা করার আবেদন খারিজ হাইকোর্টে
নীরব মোদি ব্রিটেনের সুপ্রিম কোর্টে জালিয়াতি এবং অর্থ পাচারের অভিযোগে ভারতে প্রত্যর্পণের বিরুদ্ধে তাঁর লড়াইয়ে হেরে গিয়েছেন । 13,500 কোটি টাকার পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক (PNB) কেলেঙ্কারির প্রধান অভিযুক্ত নীরব মোদি ভারত থেকে পালিয়েছিলেন । মানসিক স্বাস্থ্যের কারণে তাঁর প্রত্যর্পণের বিরুদ্ধে লন্ডন হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেও তাঁর আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত ৷ গত মার্চের শুরুতে পলাতক অর্থনৈতিক অপরাধীদের নাম উল্লেখ না করে, ব্রিটেনের বিদেশসচিব জেমস ক্লেভারলি বলেছিলেন যে, ব্রিটিশ বিচার ব্যবস্থা সরকার থেকে স্বাধীন ও সরকারই তাদের সিদ্ধান্ত নেয় ।