উজ্জয়িনী (মধ্যপ্রদেশ), 17 ফেব্রুয়ারি: মহাকালেশ্বর মন্দিরে ভস্ম আরতির মাধ্যমে প্রথমে মহাকালকে জল নিবেদন করে তারপর তাঁকে স্নান করানো হয় (Bhasmarti of Baba Mahakal)৷ এরপর পাণ্ডা ও পুরোহিতরা দুধ, দই, ঘি, মধু ও পঞ্চামৃত দিয়ে ভগবানের অভিষেক করেন ৷ মহাকালেশ্বরকে সাজানো হয় রাজার মতো করে ৷ প্রতিদিনের মতো এদিনের সাজও এত সুন্দর ছিল যে ভগবানকে দেখে ভক্তরা আনন্দিত হয়ে ওঠেন ৷ এরপর মহাকালকে ফল ও বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি নিবেদন করা হয় ৷
পাণ্ডা ও পুরোহিতরা আবির, ভাং এবং চন্দন সহযোগে রাজার সাজে সজ্জিত করেন মহাকালকে ৷ তাঁর সাজের মধ্যে ছিল কাজুবাদাম, বাদাম, রুদ্রাক্ষ, শণ, আবির, রঙিন কাপড় ও কুমকুম-সহ আরও নানা উপকরণ ৷ এছাড়াও মাথায় ত্রিপুণ্ড, রুপোর সূর্য-চাঁদ ও বিভিন্ন অলঙ্কার পরানো হয় ৷ সাজানো হয়ে গেলে সব ধরনের ফল ও মিষ্টি দিয়ে ভোগ নিবেদন করা হয় ৷ বাবা মহাকাল রাজারূপে আবির্ভূত হন ভক্তদের কাছে ৷
উজ্জয়িনীর এই মহাকাল মন্দিরের ভস্মারতি দেখার জন্য রাত 12টা থেকে মন্দিরের বাইরে লাইন দেন ভক্তরা (Baba Mahakaleshwar Temple)৷ বেলা তিনটেয় মন্দিরের দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে ভক্তদের একে একে পরীক্ষা করে ভিতরে যেতে দেওয়া হয় ৷ শেষ পর্যন্ত মহাকাল বাবার পাণ্ডা ও পুরোহিতরা জপ-সহ জল দিয়ে পঞ্চামৃত অভিষেক করেন এবং ভগবানকে গাঁজা-সহ আবির ও চন্দন দিয়ে হরিহর রূপে সজ্জিত করার পরে মহাকালকে ভস্ম অর্পণ করেন ৷
মধ্যপ্রদেশের পর্যটন বিভাগের দেওয়া তথ্য অনুসারে জানা যায়, অতীতে আরতির আগের রাতের প্রথম চিতা থেকে ছাই ভস্ম নিয়ে আরতি করা হত ৷ কিন্তু এখন গোবর থেকে ছাই তৈরি করে ভস্ম আরতি করা হয় ৷ আরতির সময় কাউকে গর্ভগৃহে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না ৷ তবে ভক্তরা ডিজিটাল স্ক্রিনে পুরো বিষয়টি দেখতে পান ৷ এই সময় মহিলাদের শাড়ি ও পুরুষদের ধুতি পরা আবশ্যিক ৷ মহাকালেশ্বর জ্যোতির্লিঙ্গ ছাড়া আরও 11টি জ্যোতির্লিঙ্গই পূর্বমুখী ৷ কেবল এটিই দক্ষিণ দিকে মুখ করা ৷ তবে এই মন্দির কবে তৈরি হয়েছিল তার কোনও সঠিক তথ্য নেই ৷ অনেকে মনে করেন প্রজাপতি ব্রম্ভা এই মন্দির তৈরি করেছিলেন ৷
আরও পড়ুন : কীসে খুশি হবেন ভোলানাথ ? কী করলে রুষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা মহাকালের