জোশীমঠ, 15 জানুয়ারি: জোশীমঠে বিপদ ক্রমশ বাড়ছে (Joshimath Crisis) ৷ রবিবার শেষ পাওয়া খবর অনুসারে, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার আরও দু'টি হোটেল পরস্পরের দিকে হেলতে শুরু করেছে (Two More Hotels Lean Towards Each Other) ৷ এই দু'টি হোটেলে আগেই ফাটল ধরা পড়েছিল ৷ রবিবার সেগুলি আরও চওড়া হয়েছে ৷ অন্যদিকে, ইতিমধ্য়েই জোশীমঠের মারওয়াড়ি এলাকার অন্তর্গত জেপি কলোনিতে ফাটলের মাধ্যমে ভৌমজল বেরিয়ে আসছে বলে প্রশাসনকে জানিয়েছিলেন বাসিন্দারা ৷ রবিবার সেই জলের ধারা আরও বাড়ে ৷ উল্লেখ্য, গত 2 জানুয়ারি থেকেই এই এলাকায় মাটির নীচ থেকে কাদা মেশানো জল বেরিয়ে আসছিল ৷ কিন্তু, সেই জল কোথা থেকে আসছে, সেই বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে পারেননি বিশেষজ্ঞরা ৷
রাজ্য়ের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সচিব রঞ্জিত কুমার সিনহা (Ranjit Kumar Sinha) এদিন জানিয়েছেন, মাটির ভিতর থেকে যেভাবে জল ঢেউয়ের মতো বেরিয়ে আসছে, তাতে তাঁরাও উদ্বিগ্ন ৷ তবে, প্রশাসন এই ঘটনার উপর লাগাতার নজর রাখছে ৷ প্রয়োজন হলেই যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷
আরও পড়ুন: ইসরোকে মুখ বন্ধ রাখতে বলছে এনডিএমএ ! ক্ষুব্ধ প্রাক্তন পরিবেশমন্ত্রী
উল্লেখ্য, এর আগেই মালারি ইন এবং তার প্রায় গায়ে লেগে থাকা মাউন্ট ভিউ হোটেল দু'টিকে বিপজ্জনক ঘোষণা করা হয়েছিল ৷ সেই হোটেল দু'টি পরস্পরের উপর একেবারে হেলে পড়েছে ৷ যে কোনও মুহূর্তে ঘটে যেতে পারে বড় অঘটন ৷ তাই ইতিমধ্যেই ওই দু'টি হোটেল ভাঙার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার ৷ কিন্তু, হোটেল ভাঙার আগেই মোটা অঙ্কের ক্ষতিপূরণ চেয়ে ধরনায় বসেন একটি হোটেলের মালিক ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা ৷ তার জেরে পুরো প্রক্রিয়াটিই কয়েক দিনের জন্য থমকে যায় ৷
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সংশ্লিষ্ট দু'টি হোটেলের মাত্র 100 মিটারের মধ্য়েই আরও দু'টি হোটেল একইভাবে পরস্পরের দিকে হেলে পড়েছে ৷ দু'টি হোটেলের ভবনেই ফাটল ক্রমশ চওড়া হচ্ছে ৷ এই হোটেল দু'টির নাম যথাক্রমে স্নো ক্রেস্ট এবং কমেট ৷ এই ঘটনার পরই ওই দু'টি হোটেল খালি করে দেওয়া হয়েছে ৷ সতর্ক করা হয়েছে আশপাশের মানুষজনকে ৷ স্নো ক্রেস্ট হোটেলের মালিকের মেয়ে পূজা প্রজাপতি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, "আগে এই দু'টি হোটেলের মধ্যে প্রায় 4 ফুটের ব্যবধান ছিল ৷ কিন্তু, এখন তা কমে মাত্র কয়েক ইঞ্চিতে এসে দাঁড়িয়েছে ! দু'টি হোটেলের ছাদ প্রায় পরস্পরকে ছুঁয়ে ফেলেছে !"