ETV Bharat / bharat

জম্মু ও কাশ্মীরের পারিমপোরায় এনকাউন্টারে খতম 2 জঙ্গি - মাল্লুরা এনকাউন্টার

গতকাল রাত থেকে মাল্লুরার পারিমপোরায় জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশ ও নিরাপত্তারক্ষীদের যৌথ বাহিনী ও জঙ্গিদের মধ্যে গুলির লড়াই শুরু হয় ৷ ঘটনাস্থানেই নিহত দুই জঙ্গি ৷ যদিও, এনকাউন্টারের আগেই এক জঙ্গিকে গ্রেফতারও করেছিল পুলিশ ৷ তার কাছে থেকে একে-47 উদ্ধারের জন্য তার বাড়িতে গেলেই সেখানে গুলির লড়াই শুরু হয় ৷ ধৃত ওই জঙ্গি লস্কর-ই তইবার কমান্ডার বলে জানিয়েছেন পুলিশ ৷

জম্মু ও কাশ্মীরের পারিমপোরায় এনকাউন্টারে খতম 2 জঙ্গি
জম্মু ও কাশ্মীরের পারিমপোরায় এনকাউন্টারে খতম 2 জঙ্গি
author img

By

Published : Jun 29, 2021, 8:29 AM IST

শ্রীনগর, 29 জুন : মাল্লুরার পারিমপোরায় গুলির লড়াইয়ে খতম 2 জঙ্গি ৷ গতকাল রাত থেকে নিরাপত্তারক্ষী ও জঙ্গিদের মধ্যে গুলির লড়াই শুরু হয় ৷ আজ ভোরে দুই জঙ্গিকে খতম করে কাশ্মীর পুলিশ ও নিরাপত্তা রক্ষীদের যৌথ বাহিনী ৷ এই দুই জঙ্গির মধ্যে একজন পাকিস্তানি জঙ্গি এবং লস্কর-ই তইবার কমান্ডার ৷ নাম আব্রার ৷ বেশ কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষী ও নাগরিককে খুনের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে ৷

হাইওয়েতে নাশকতার ছক কষেছিল আব্রার ৷ খবর আগের থেকেই ছিল ৷ সেইমতো গতকাল রাতেই হাইওয়ের কয়েকটি এলাকায় জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ ও নিরাপত্তারক্ষীদের মোতায়েন করা হয়েছিল ৷ সন্দেহ হওয়ায় পারিমপোরা এলাকায় একটি গাড়িকে থামানো হয় ৷ পরিচয় পত্র চাওয়া হয় ৷ ঠিক সেইসময় গাড়ির পিছনের সিটে বসে থাকা এক ব্যক্তি ব্যাগ খোলার চেষ্টা করছিল ৷ ব্যাগ থেকে একটি গ্রেনেডও বের করেছিল ৷ বিষয়টা নজরে পড়ে নিরাপত্তারক্ষীদের ৷ সঙ্গে সঙ্গে ওই ব্যক্তিকে ধরে নেয় তারা ৷ এরপর তাকে ও গাড়ি চালককে থানায় নিয়ে যাওয়া হয় ৷ থানায় নিয়ে যাওয়ার পরই দেখা যায়, পিছনের সিটে বসে থাকা ব্যক্তি আসলে লস্কর-ই তইবার কমান্ডার আব্রার ৷ মুখে মাস্ক পরে থাকায় তাকে প্রথমে চেনা যায়নি ৷ তার কাছ থেকে গ্রেনেড ও বন্দুক উদ্ধার করা হয়েছে ৷ এমনই জানিয়েছে ইন্সপেক্টর জেনেরাল পুলিশ বা আইজিপি(কাশ্মীর) বিজয় কুমার ৷

আরও পড়ুন, কাশ্মীরি সন্ত্রাসবাদীদের অপ্রচলিত যুদ্ধশৈলীর শক্তি যোগাচ্ছে ড্রোন

থানায় নিয়ে যাওয়ার পরেও কীভাবে এনকাউন্টের প্রয়োজন হল? এই প্রশ্ন মনে জাগতেই পারে ৷ এখানেই ঘটনার শেষ নয় ৷ বিজয় কুমার জানাচ্ছেন, তাকে থানায় নিয়ে যাওয়ার পর দফায় দফায় জেরা করা হয় ৷ সেখানে আব্রার জানায়, মাল্লুরায় তার বাড়িতে একে-47 রাইফেল রয়েছে ৷ এরপরেই রাইফেলটি উদ্ধারের জন্য তাকে তার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ কিন্তু, বাড়িতে আব্রারের এক সাগরেদ লুকিয়ে ছিল ৷ তাই বাড়িতে ঢোকার মুহূর্তে নিরাপত্তারক্ষীদের উপর গুলিবর্ষণ শুরু হয় ৷ ঘটনায় তিনজন নিরাপত্তারক্ষী আহত হন ৷ সঙ্গে সঙ্গে তাদের সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ বাড়িটি নিরাপত্তারক্ষী, পুলিশের দ্বারা ঘিরে দেওয়া হয় ৷ তারপরেই দুই পক্ষের মধ্যে গুলির লড়াই শুরু হয় ৷ গুলির লড়াইয়ে আব্রার ও তার সাগরেদ দুইজনেই মারা যায় ৷ আব্রারের ওই বাড়ি থেকে দুটি একে-47 উদ্ধার করা হয়েছে ৷

প্রসঙ্গত, টানা চার মাস উপত্যকায় কার্যত কোনও সন্ত্রাসের চিহ্ন ছিল না ৷ কিন্তু, হঠাৎ করেই গত কয়েক সপ্তাহে একের পর এক সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটতে শুরু করেছে ৷ সম্প্রতি, 27 জুন জম্মু বিমানবন্দরের ভিতরে বায়ুসেনার ঘাঁটিতে পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে দু’টি বিস্ফোরণ হয় ৷ অনুমান করা হচ্ছে, ড্রোনের মাধ্যমে আকাশপথে এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে ৷ ঘটনায় ইতিমধ্যে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের তরফে বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইনের আওতায় সুয়োমোটো মামলা রুজু করা হয়েছে বলে খবর ৷ এই ঘটনার পর উপত্যকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে ৷

শ্রীনগর, 29 জুন : মাল্লুরার পারিমপোরায় গুলির লড়াইয়ে খতম 2 জঙ্গি ৷ গতকাল রাত থেকে নিরাপত্তারক্ষী ও জঙ্গিদের মধ্যে গুলির লড়াই শুরু হয় ৷ আজ ভোরে দুই জঙ্গিকে খতম করে কাশ্মীর পুলিশ ও নিরাপত্তা রক্ষীদের যৌথ বাহিনী ৷ এই দুই জঙ্গির মধ্যে একজন পাকিস্তানি জঙ্গি এবং লস্কর-ই তইবার কমান্ডার ৷ নাম আব্রার ৷ বেশ কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষী ও নাগরিককে খুনের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে ৷

হাইওয়েতে নাশকতার ছক কষেছিল আব্রার ৷ খবর আগের থেকেই ছিল ৷ সেইমতো গতকাল রাতেই হাইওয়ের কয়েকটি এলাকায় জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ ও নিরাপত্তারক্ষীদের মোতায়েন করা হয়েছিল ৷ সন্দেহ হওয়ায় পারিমপোরা এলাকায় একটি গাড়িকে থামানো হয় ৷ পরিচয় পত্র চাওয়া হয় ৷ ঠিক সেইসময় গাড়ির পিছনের সিটে বসে থাকা এক ব্যক্তি ব্যাগ খোলার চেষ্টা করছিল ৷ ব্যাগ থেকে একটি গ্রেনেডও বের করেছিল ৷ বিষয়টা নজরে পড়ে নিরাপত্তারক্ষীদের ৷ সঙ্গে সঙ্গে ওই ব্যক্তিকে ধরে নেয় তারা ৷ এরপর তাকে ও গাড়ি চালককে থানায় নিয়ে যাওয়া হয় ৷ থানায় নিয়ে যাওয়ার পরই দেখা যায়, পিছনের সিটে বসে থাকা ব্যক্তি আসলে লস্কর-ই তইবার কমান্ডার আব্রার ৷ মুখে মাস্ক পরে থাকায় তাকে প্রথমে চেনা যায়নি ৷ তার কাছ থেকে গ্রেনেড ও বন্দুক উদ্ধার করা হয়েছে ৷ এমনই জানিয়েছে ইন্সপেক্টর জেনেরাল পুলিশ বা আইজিপি(কাশ্মীর) বিজয় কুমার ৷

আরও পড়ুন, কাশ্মীরি সন্ত্রাসবাদীদের অপ্রচলিত যুদ্ধশৈলীর শক্তি যোগাচ্ছে ড্রোন

থানায় নিয়ে যাওয়ার পরেও কীভাবে এনকাউন্টের প্রয়োজন হল? এই প্রশ্ন মনে জাগতেই পারে ৷ এখানেই ঘটনার শেষ নয় ৷ বিজয় কুমার জানাচ্ছেন, তাকে থানায় নিয়ে যাওয়ার পর দফায় দফায় জেরা করা হয় ৷ সেখানে আব্রার জানায়, মাল্লুরায় তার বাড়িতে একে-47 রাইফেল রয়েছে ৷ এরপরেই রাইফেলটি উদ্ধারের জন্য তাকে তার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ কিন্তু, বাড়িতে আব্রারের এক সাগরেদ লুকিয়ে ছিল ৷ তাই বাড়িতে ঢোকার মুহূর্তে নিরাপত্তারক্ষীদের উপর গুলিবর্ষণ শুরু হয় ৷ ঘটনায় তিনজন নিরাপত্তারক্ষী আহত হন ৷ সঙ্গে সঙ্গে তাদের সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ বাড়িটি নিরাপত্তারক্ষী, পুলিশের দ্বারা ঘিরে দেওয়া হয় ৷ তারপরেই দুই পক্ষের মধ্যে গুলির লড়াই শুরু হয় ৷ গুলির লড়াইয়ে আব্রার ও তার সাগরেদ দুইজনেই মারা যায় ৷ আব্রারের ওই বাড়ি থেকে দুটি একে-47 উদ্ধার করা হয়েছে ৷

প্রসঙ্গত, টানা চার মাস উপত্যকায় কার্যত কোনও সন্ত্রাসের চিহ্ন ছিল না ৷ কিন্তু, হঠাৎ করেই গত কয়েক সপ্তাহে একের পর এক সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটতে শুরু করেছে ৷ সম্প্রতি, 27 জুন জম্মু বিমানবন্দরের ভিতরে বায়ুসেনার ঘাঁটিতে পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে দু’টি বিস্ফোরণ হয় ৷ অনুমান করা হচ্ছে, ড্রোনের মাধ্যমে আকাশপথে এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে ৷ ঘটনায় ইতিমধ্যে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের তরফে বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইনের আওতায় সুয়োমোটো মামলা রুজু করা হয়েছে বলে খবর ৷ এই ঘটনার পর উপত্যকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.