অন্ধ্রপ্রদেশ, 16 জানুয়ারি: অন্ধ্রপ্রদেশের গোদাবরী এবং কাকিনাড়া জেলায় মরগের লড়াই চলাকালীন 2 জনের মৃত্যু হল (Two Killed by Cock Knife Which is Tied in Hens Leg) ৷ জানা গিয়েছে, মোরগের পায়ে বাঁধা ছুরির আঘাতেই তাঁদের প্রাণ গিয়েছে ৷ সংক্রান্তি উপলক্ষ্যে অন্ধ্রের উপকূলবর্তী জেলায় এই মোরগের লড়াই হয় প্রতিবছর ৷ জানা গিয়েছে, প্রথম ঘটনায় মোরগের লড়াই চলাকালীন, একটি মোরগ উড়ে এসে এক ব্যক্তি গায়ে পড়ে যায় ৷ তখনই তাঁর বুকে মোরগের পায়ে বাঁধা ছুরি বিঁধে যায় ৷ যদিও এই ঘটনায় আয়োজক বা অন্য কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়নি ৷
ঘটনায় মৃত ব্যক্তির নাম পদ্মরাজু বলে জানা গিয়েছে ৷ স্থানীয় সূত্র খবর, মোরগটি পদ্মরাজুর গায়ে উড়ে এসে পড়লে, সেটি তাঁর বুকের উপরেই ঝাপটাঝাপটি শুরু করে ৷ মোরগের পায়ে ছুরি বাঁধা থাকায় গুরুতরভাবে জখম হন পদ্মরাজু ৷ এমনকী ছুরিটি তাঁর বুকে বিঁধে যায় ৷ এই ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন ৷
অন্য আরেকটি ঘটনায় অন্ধ্রপ্রদেশের কাকিনাড়া জেলায় মোরগের লড়াইয়ের আগেই ছুরির আঘাতে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷ স্থানীয় সূত্রে খবর, কাকিনাড়া জেলার ভেলাঙ্কাতে মোরগের পায়ে ছুরি বাঁধছিলেন সুরেশ নাম বছর 45 এর ওই ব্যক্তি ৷ সেই সময় মোরগটি লাফালাফি শুরু করলে, ছুরিতে তাঁর হাতের শিরা কেটে যায় ৷ তাঁর হাত থেকে গলগলিয়ে রক্ত বেরতে শুরু করে ৷ তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন ৷
আরও পড়ুন: হঠাৎ মাঝ রাস্তায় শুরু ষাঁড়ের লড়াই, থমকে গেল যান চলাচল
এই মোরগের লড়াই বেআইনি হলেও, স্থানীয় নেতা ও মন্ত্রীরা এর সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ ৷ অনেকক্ষেত্রে শাসকদলের বিধায়ক এবং সাংসদরা এই মোরগের লড়াইয়ের আয়োজন করে থাকেন ৷ ফলে পুলিশ প্রশাসনও অধিকাংশ ক্ষেত্রে অভিযোগ পেয়ে পিছিয়ে আসতে বাধ্য হয় বলে দাবি বিভিন্ন মহলের ৷ আয়োজকদের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানিয়েও পরে তা তুলে নেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে অতীতে ৷ আর এত ঘটনা প্রবাহের মধ্যেই মোরগের পায়ে বাঁধা ছুরি প্রাণ নিল দু'জনের ।