ETV Bharat / bharat

200 প্রকল্প বদলে দিয়েছে রামনগরীর পুরনো গৌরব: অযোধ্যার মেয়র

Ayodhya Mayor Girish Pati Tripathi Exclusive: রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার প্রস্তুতিতে 200 প্রকল্প বদলে দিয়েছে রামনগরী অযোধ্যার পুরনো গৌরব ৷ ইটিভি ভারতকে এ কথা বললেন অযোধ্যার মেয়র গিরীশপতি ত্রিপাঠী ৷

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jan 16, 2024, 7:18 PM IST

ETV BHARAT
ETV BHARAT

অযোধ্যা,16 জানুয়ারি: 22 জানুয়ারি রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে । সরকারি শতাধিক প্রকল্প বদলে দিয়েছে শহরের চেহারা । রাস্তা প্রশস্ত করা থেকে শুরু করে রং করা ও পরিচ্ছন্নতার কাজ - সবই চলছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় । এই পরিস্থিতিতে ইটিভি ভারত কথা বলেছে অযোধ্যার মেয়র গিরীশপতি ত্রিপাঠীর সঙ্গে ৷ অযোধ্যায় বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় কী কী উন্নয়নের কাজ করা হচ্ছে, 22 জানুয়ারির কর্মসূচির প্রস্তুতি কী ? এমনই নানা প্রশ্নের জবাব দিলেন অযোধ্যার মেয়র ৷

প্রশ্ন: 22 জানুয়ারি অযোধ্যায় রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার একটি বড় অনুষ্ঠান হতে চলেছে । এই অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি কী ?

উত্তর: অযোধ্যা পৌরনিগম এবং সামাজিক স্তরে এই অনুষ্ঠানের জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে । প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাশা অনুযায়ী, অযোধ্যাকে সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন শহর করতে হবে । এ জন্য আমরা সপ্তাহের সাত দিন 24 ঘণ্টা সবকিছু পরিষ্কার করার ব্যবস্থা করছি । বিভিন্ন স্থানে লাগানো হচ্ছে সুন্দর বাতি । বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থাও রয়েছে । জনসাধারণের সুবিধার্থে এখানে আগত অতিথিদের জন্য হেল্প ডেস্ক, হিটার এবং পাঁচ হাজার লোকের বসার উপযোগী একটি টেন্ট সিটিও নির্মাণ করা হচ্ছে । আমাদের ব্যাপক প্রস্তুতি রয়েছে । আমরা অযোধ্যার সব রাস্তা কভার করছি । ছয় মাস আগে শুরু হওয়া এ সব প্রস্তুতি এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে । অযোধ্যা পৌরনিগম ভক্তদের প্রয়োজনীয় সমস্ত সুবিধা দেওয়ার জন্য কাজ করছে ।

প্রশ্ন: আপনারা পাঁচ হাজার লোকের জন্য একটি তাঁবুর শহর তৈরি করছেন ৷ কিন্তু এখানে ভক্ত ও অতিথির সংখ্যা অনেক বেশি । কীভাবে সবদিক সামাল দেবেন ?

উত্তর: আমাদের ঐতিহ্যগত নাইট শেল্টার আছে ৷ এ ছাড়া রাম জন্মভূমি তীর্থ এলাকা ও সরকারের বিভিন্ন বিভাগ তাঁবুর শহরও তৈরি করছে । অযোধ্যা আশ্রমের শহর, তাই সেখানে হাজার হাজার মানুষের থাকার ব্যবস্থা আছে । এমনকি অযোধ্যার সাধারণ মেলাগুলোতেও 10 থেকে 20 লাখ মানুষ আসেন । তাই কোনো সমস্যা হবে না ।

প্রশ্ন: অযোধ্যায় জনগণের প্রত্যাশার চেয়ে বেশি উন্নয়নের কাজ হচ্ছে । রাস্তা নির্মাণ হোক বা নিকাশি - ইত্যাদির কাজ দ্রুতগতিতে হচ্ছে । সরকারি প্রকল্পগুলি কী কী এবং সেগুলিতে কত টাকা এসেছে ?

উত্তর: অযোধ্যায় প্রায় 30 হাজার কোটি টাকার 179টি প্রকল্প চলছে ৷ সমস্ত কাজ পৌরনিগম, রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের মাধ্যমে করা হচ্ছে । যে বড় বড় কাজগুলো দেখা যাচ্ছে তা হল রামের পথ, ধর্মের পথ এবং ভক্তির পথ । এছাড়াও, পৌরনিগম সম্পর্কিত অনেক প্রকল্প রয়েছে । মাল্টিলেভেল পার্কিংও সম্পন্ন হয়েছে । উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কিছু মাল্টিলেভেল পার্কিং করছে । এক-দুই বছর আগে যা এসেছেন, তাঁরা আজকের অযোধ্যাকে চিনতে পারবেন না । এত পরিবর্তন ঘটেছে অযোধ্যায় । আমাদের সরকার অযোধ্যার সাংস্কৃতিক জাঁকজমক ফিরিয়ে দিতে চায় ।

প্রশ্ন: অযোধ্যার মানুষ আন্দোলনের সময়ও দেখেছে । তাঁরা আশা করেননি যে অযোধ্যার পুরনো গৌরব ফিরে আসবে । এ বিষয়ে আপনি কী বলতে চান?

উত্তর: এ সবই রামজির ইচ্ছা । রামজি তাঁর মন্দিরে পৌঁছতে চলেছেন । ত্রেতাযুগে যেমন ঘটেছিল, আমরা সৌন্দর্য ও সুযোগ-সুবিধার দিক থেকে সব ধরনের রেকর্ড তৈরি করার চেষ্টা করছি । রাম মন্দিরের জন্য অযোধ্যার মানুষ অনেক সংগ্রাম করেছে । আপনি কত বনধ বা কারফিউ দেখেছেন ? সরকার ও প্রশাসনের অত্যাচার সহ্য করে আজ আমরা ভগবানের মন্দির দেখার মতো অবস্থায় আছি । অযোধ্যাবাসীর তপস্যাও শেষের পথে । তাঁদেরও ভালো লাগছে এবং আপনারা প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে দারুণ উৎসাহ দেখতে পাবেন ।

প্রশ্ন: আপনি সব পরিকল্পনার কথা বলেছেন, কিন্তু শহরের উন্নয়নে ভবিষ্যতের জন্য কী কোনও পরিকল্পনা আছে ?

উত্তর: দেখুন , এখন আমরা 22 জানুয়ারির কর্মসূচির কথা মাথায় রেখে প্রস্তুতি নিচ্ছি ৷ তবে আমরা মনে করি যে, অযোধ্যায় প্রতিদিন গড়ে 1.5 থেকে 2 লাখ মানুষের যাতায়াত হবে । সেই দৃষ্টিকোণ থেকে শহুরে সুবিধা কী হতে পারে ? আমাদের কি আরও কিছু করতে হবে ? এসব বিষয় মূল্যায়ন করে একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা হবে । আজকের অযোধ্যা আন্তর্জাতিক আধ্যাত্মিকতার কেন্দ্র হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে । এতে এখানে মানুষের যাতায়াত বাড়বে । অতএব, আমাদের সরকার যা কিছু প্রয়োজন তা পূরণ করার জন্য কাজ করবে ।

প্রশ্ন: আপনি অযোধ্যার প্রথম নাগরিক, তাই প্রধানমন্ত্রী এবং অন্যান্য অতিথিদের স্বাগত জানাতে আপনি কী প্রস্তুতি নিয়েছেন?

উত্তর: আমরা রামলালাকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত । প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতেও প্রস্তুত । এটা সৌভাগ্যের বিষয় যে রামলালা তাঁর গর্ভগৃহে আসছেন । প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী সেই অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করবেন । একজন নাগরিক এবং প্রথম নাগরিক হিসেবে তাঁদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার সঙ্গে স্বাগত জানানোর দায়িত্ব আমার । আমি সেই মুহূর্তের জন্যও অপেক্ষা করছি, যখন ভগবান তাঁর গর্ভগৃহে বসবেন এবং আমরা সবাই তাঁর দর্শন পাব ।

আরও পড়ুন:

  1. রাম মন্দিরের উদ্বোধনের দিন রাজ্যজুড়ে সম্প্রীতি মিছিলের ডাক মমতার
  2. রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠায় মন্দির চত্বরে বাজবে শাস্ত্রীয় বাদ্যযন্ত্র, বাংলা থেকে যাচ্ছে শ্রীখোল-সরোদ
  3. প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিন রামের পোশাক কেমন হবে ? তুলে ধরল ইটিভি ভারত

অযোধ্যা,16 জানুয়ারি: 22 জানুয়ারি রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে । সরকারি শতাধিক প্রকল্প বদলে দিয়েছে শহরের চেহারা । রাস্তা প্রশস্ত করা থেকে শুরু করে রং করা ও পরিচ্ছন্নতার কাজ - সবই চলছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় । এই পরিস্থিতিতে ইটিভি ভারত কথা বলেছে অযোধ্যার মেয়র গিরীশপতি ত্রিপাঠীর সঙ্গে ৷ অযোধ্যায় বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় কী কী উন্নয়নের কাজ করা হচ্ছে, 22 জানুয়ারির কর্মসূচির প্রস্তুতি কী ? এমনই নানা প্রশ্নের জবাব দিলেন অযোধ্যার মেয়র ৷

প্রশ্ন: 22 জানুয়ারি অযোধ্যায় রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার একটি বড় অনুষ্ঠান হতে চলেছে । এই অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি কী ?

উত্তর: অযোধ্যা পৌরনিগম এবং সামাজিক স্তরে এই অনুষ্ঠানের জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে । প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাশা অনুযায়ী, অযোধ্যাকে সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন শহর করতে হবে । এ জন্য আমরা সপ্তাহের সাত দিন 24 ঘণ্টা সবকিছু পরিষ্কার করার ব্যবস্থা করছি । বিভিন্ন স্থানে লাগানো হচ্ছে সুন্দর বাতি । বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থাও রয়েছে । জনসাধারণের সুবিধার্থে এখানে আগত অতিথিদের জন্য হেল্প ডেস্ক, হিটার এবং পাঁচ হাজার লোকের বসার উপযোগী একটি টেন্ট সিটিও নির্মাণ করা হচ্ছে । আমাদের ব্যাপক প্রস্তুতি রয়েছে । আমরা অযোধ্যার সব রাস্তা কভার করছি । ছয় মাস আগে শুরু হওয়া এ সব প্রস্তুতি এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে । অযোধ্যা পৌরনিগম ভক্তদের প্রয়োজনীয় সমস্ত সুবিধা দেওয়ার জন্য কাজ করছে ।

প্রশ্ন: আপনারা পাঁচ হাজার লোকের জন্য একটি তাঁবুর শহর তৈরি করছেন ৷ কিন্তু এখানে ভক্ত ও অতিথির সংখ্যা অনেক বেশি । কীভাবে সবদিক সামাল দেবেন ?

উত্তর: আমাদের ঐতিহ্যগত নাইট শেল্টার আছে ৷ এ ছাড়া রাম জন্মভূমি তীর্থ এলাকা ও সরকারের বিভিন্ন বিভাগ তাঁবুর শহরও তৈরি করছে । অযোধ্যা আশ্রমের শহর, তাই সেখানে হাজার হাজার মানুষের থাকার ব্যবস্থা আছে । এমনকি অযোধ্যার সাধারণ মেলাগুলোতেও 10 থেকে 20 লাখ মানুষ আসেন । তাই কোনো সমস্যা হবে না ।

প্রশ্ন: অযোধ্যায় জনগণের প্রত্যাশার চেয়ে বেশি উন্নয়নের কাজ হচ্ছে । রাস্তা নির্মাণ হোক বা নিকাশি - ইত্যাদির কাজ দ্রুতগতিতে হচ্ছে । সরকারি প্রকল্পগুলি কী কী এবং সেগুলিতে কত টাকা এসেছে ?

উত্তর: অযোধ্যায় প্রায় 30 হাজার কোটি টাকার 179টি প্রকল্প চলছে ৷ সমস্ত কাজ পৌরনিগম, রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের মাধ্যমে করা হচ্ছে । যে বড় বড় কাজগুলো দেখা যাচ্ছে তা হল রামের পথ, ধর্মের পথ এবং ভক্তির পথ । এছাড়াও, পৌরনিগম সম্পর্কিত অনেক প্রকল্প রয়েছে । মাল্টিলেভেল পার্কিংও সম্পন্ন হয়েছে । উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কিছু মাল্টিলেভেল পার্কিং করছে । এক-দুই বছর আগে যা এসেছেন, তাঁরা আজকের অযোধ্যাকে চিনতে পারবেন না । এত পরিবর্তন ঘটেছে অযোধ্যায় । আমাদের সরকার অযোধ্যার সাংস্কৃতিক জাঁকজমক ফিরিয়ে দিতে চায় ।

প্রশ্ন: অযোধ্যার মানুষ আন্দোলনের সময়ও দেখেছে । তাঁরা আশা করেননি যে অযোধ্যার পুরনো গৌরব ফিরে আসবে । এ বিষয়ে আপনি কী বলতে চান?

উত্তর: এ সবই রামজির ইচ্ছা । রামজি তাঁর মন্দিরে পৌঁছতে চলেছেন । ত্রেতাযুগে যেমন ঘটেছিল, আমরা সৌন্দর্য ও সুযোগ-সুবিধার দিক থেকে সব ধরনের রেকর্ড তৈরি করার চেষ্টা করছি । রাম মন্দিরের জন্য অযোধ্যার মানুষ অনেক সংগ্রাম করেছে । আপনি কত বনধ বা কারফিউ দেখেছেন ? সরকার ও প্রশাসনের অত্যাচার সহ্য করে আজ আমরা ভগবানের মন্দির দেখার মতো অবস্থায় আছি । অযোধ্যাবাসীর তপস্যাও শেষের পথে । তাঁদেরও ভালো লাগছে এবং আপনারা প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে দারুণ উৎসাহ দেখতে পাবেন ।

প্রশ্ন: আপনি সব পরিকল্পনার কথা বলেছেন, কিন্তু শহরের উন্নয়নে ভবিষ্যতের জন্য কী কোনও পরিকল্পনা আছে ?

উত্তর: দেখুন , এখন আমরা 22 জানুয়ারির কর্মসূচির কথা মাথায় রেখে প্রস্তুতি নিচ্ছি ৷ তবে আমরা মনে করি যে, অযোধ্যায় প্রতিদিন গড়ে 1.5 থেকে 2 লাখ মানুষের যাতায়াত হবে । সেই দৃষ্টিকোণ থেকে শহুরে সুবিধা কী হতে পারে ? আমাদের কি আরও কিছু করতে হবে ? এসব বিষয় মূল্যায়ন করে একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা হবে । আজকের অযোধ্যা আন্তর্জাতিক আধ্যাত্মিকতার কেন্দ্র হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে । এতে এখানে মানুষের যাতায়াত বাড়বে । অতএব, আমাদের সরকার যা কিছু প্রয়োজন তা পূরণ করার জন্য কাজ করবে ।

প্রশ্ন: আপনি অযোধ্যার প্রথম নাগরিক, তাই প্রধানমন্ত্রী এবং অন্যান্য অতিথিদের স্বাগত জানাতে আপনি কী প্রস্তুতি নিয়েছেন?

উত্তর: আমরা রামলালাকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত । প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতেও প্রস্তুত । এটা সৌভাগ্যের বিষয় যে রামলালা তাঁর গর্ভগৃহে আসছেন । প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী সেই অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করবেন । একজন নাগরিক এবং প্রথম নাগরিক হিসেবে তাঁদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার সঙ্গে স্বাগত জানানোর দায়িত্ব আমার । আমি সেই মুহূর্তের জন্যও অপেক্ষা করছি, যখন ভগবান তাঁর গর্ভগৃহে বসবেন এবং আমরা সবাই তাঁর দর্শন পাব ।

আরও পড়ুন:

  1. রাম মন্দিরের উদ্বোধনের দিন রাজ্যজুড়ে সম্প্রীতি মিছিলের ডাক মমতার
  2. রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠায় মন্দির চত্বরে বাজবে শাস্ত্রীয় বাদ্যযন্ত্র, বাংলা থেকে যাচ্ছে শ্রীখোল-সরোদ
  3. প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিন রামের পোশাক কেমন হবে ? তুলে ধরল ইটিভি ভারত
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.