চণ্ডীগড়, 15 জানুয়ারি: তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণা অভিযোগ রয়েছে ৷ পুলিশের খাতায় তিনি 'পলাতক' ! অথচ সেই তাঁকেই কিনা থানায় বসিয়ে সাদরে চা খেতে দেওয়া হয়েছে ! তাঁর আপ্যায়নে ব্যস্ত রয়েছেন থানারই দুই পুলিশ আধিকারিক (Offering Tea to Absconding Fraud Accused) ! যেকোনওভাবেই হোক, সেই মুহূর্তের ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে যায় সোশাল মিডিয়ায় ৷ অন্য অনেকের মতো রাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীরও চোখে পড়ে যায় সেই ভিডিয়ো ৷ আর তারপরই অভিযুক্ত দুই পুলিশ আধিকারিককে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দেন মন্ত্রীমশাই ৷ ঘটনাটি ঘটেছে হরিয়ানায় (Two Cops Suspended in Haryana) ৷
ঘটনা প্রসঙ্গ জানা গিয়েছে, সাসপেন্ড হওয়া দুই পুলিশ আধিকারিক হরিয়ানার কৈথল জেলার পুণ্ডারি থানায় কর্মরত ছিলেন ৷ সেই থানাতেই তথাকথিত 'পলাতক' অভিযুক্তকে চা খাইয়ে আপ্য়ায়ন করার অভিযোগ উঠেছে তাঁদের বিরুদ্ধে ৷ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অনিল ভিজের নির্দেশে কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে হয়েছে তাঁদের ৷ সূত্রের খবর, এক মহিলা মন্ত্রীমশাইকে দুই পুলিশ আধিকারিকের কীর্তির ভিডিয়ো দেখান ৷ এরপরই শনিবার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেন অনিল ৷
আরও পড়ুন: অন্তঃসত্ত্বাকে বাইকের সঙ্গে বেঁধে টেনে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ, গ্রেফতার স্বামী
প্রসঙ্গত, 69 বছরের অনিল ভিজ তাঁর আম্বালার বাড়িতে নিয়মিত 'জনতা দরবার' বসান ৷ সেখানে আমজনতা সরাসরি মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে নিজেদের অভাব, অভিযোগের কথা জানাতে পারেন ৷ সূত্রের দাবি, সেই জনতা দরবারেই এক মহিলা মন্ত্রীকে দুই পুলিশ আধিকারিকের ওই ভাইরাল ভিডিয়োটি দেখান ৷ এরপর আর পদক্ষেপ করতে দেরি করেননি রাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ৷ 'দরবার' চলাকালীনই কৈথালের পুলিশ সুপারকে ফোন করেন তিনি ৷
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ফোনে মন্ত্রীমশাই বলেন, "এসপি সাহেব, আপনি বলছেন অভিযুক্ত পলাতক ৷ আর সেই পলাতক অভিযুক্তকেই কিনা থানায় বসিয়ে চা খাওয়ানো হচ্ছে ! অপরাধীরা থানায় বসে রয়েছে ! আমি কি তাহলে ওই থানা বন্ধ করিয়ে দেব ? এটা কীভাবে ঘটল এসপি স্য়ার ? এই রাজ্য কি গুন্ডারা শাসন করছে ? আমি অবিলম্বে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চাই ৷"
যে মহিলা মন্ত্রীকে এই ভিডিয়োটি সম্পর্কে অবহিত করেন, তিনি জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে 25 লক্ষ টাকা প্রতারণা করার অভিযোগ রয়েছে ৷ অথচ, পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থাই নিচ্ছে না ! পুলিশ বলছে, তিনি পলাতক ৷ অথচ তিনি সর্বসমক্ষে বুক চিতিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ! তবে মন্ত্রীর ফোনের পরই টনক নড়ে পুলিশের ৷ এই ফোনের মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয় ৷ সেই খবর রাজ্য পুলিশের ডিজি নিজে ফোন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে জানান ৷