রাজকোট, 14 অক্টোবর: চোর সন্দেহে রাজকোটে দুই বাঙালি যুবককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল। শুক্রবার তাঁদের দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত 3 কিলো রুপো চুরিকে কেন্দ্র করে। তার জেরেই ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে প্রাণ গেল বাংলার দুই যুবকের। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। সাম্প্রতিক অতীতে দেশের একাধিক রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন বাংলার শ্রমিকরা। কখনও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জেরে প্রাণ গিয়েছে। কখনও আবার কোনও অপরাধের শিকার হতে হয়েছে তাঁদের। এবার তেমনই ঘটনা ঘটল গুজরাতের রাজকোটে।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত দুই যুবকের নাম রাহুল এবং মিনু। রাহুল একটি গয়না প্রস্তুতকারী সংস্থায় শ্রমিকের কাজ করতেন। সেখানে অন্য কাজে যাতায়াত করতেন মিনু। কিছুদিন আগে এই সংস্থার ভাণ্ডার থেকে 3 কিলো রুপো চুরি যায় বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। এর দিন কয়েক পর রাহুলের থেকে কয়েকশো গ্রাম রুপো উদ্ধার হয়। কারখানা কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হয়, রুপো চুরি করে তা মিনুর সাহায্যে পাচার করে দিয়েছেন রাহুল।
এরপর দু'জনের সঙ্গে কথা বলেন কারখানার মালিক এবং তাঁর জনা কয়েক সহযোগী। অভিযোগ, আলোচনার মধ্যেই দুই শ্রমিককে তাঁরা বেধড়ক মারধর করেন। শুধু তাই নয়, তাঁদের একটি ঘরে সারারাত বন্ধ করেও রাখা হয়। শেষমেশ সকালের দিকে দু'জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ঘটনা সম্পর্কে স্থানীয় ডিএসপি সজ্জনসিং পারমার জানিয়েছেন, তদন্ত শুরু হয়েছে। কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তা জানার কাজ শুরু হয়েছে। তবে এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
বাংলার শ্রমিকদের এভাবে প্রাণ হারানো ঘিরে রাজনীতিও সরগরম হয়েছে বারবার। বিরোধীদের দাবি, রাজ্যে কমসংস্থানের অভাব রয়েছে বলেই শ্রমিকরা অন্যত্র কাজ করতে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। পরিবার ছেড়ে তাঁদের অন্যত্র থাকতে হচ্ছে। আর তার উপর এই ধরনের মর্মান্তিক ঘটনাও ঘটছে। তবে শাসক শিবিরের দাবি, বাংলায় কর্মসংস্থানের পরিস্থিতি ঠিক যতটা খারাপ বলে বিরোধীরা দাবি করে ততটা নয়। সম্প্রতি দুর্গাপুজোর ভার্চুয়াল উদ্বোধন করতে গিয়েও পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে ফিরে আসার বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: মেয়েকে 6 বছর ধরে যৌন নির্যাতন, গ্রেফতার বাবা