নয়াদিল্লি, 27 জানুয়ারি: ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থীদের নাম একপ্রকার চূড়ান্ত করে ফেলল বিজেপি (BJP to announce candidate list for Tripura very soon ) । দলীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার বাড়িতে পাঁচ ঘণ্টার ম্যারাথন বৈঠক হল বৃহস্পতিবার । কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ থেকে শুরু করে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব, ত্রিপুরা বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাজিব ভট্টাচার্য, নির্বাচনের পর্যবেক্ষক মহেশ শর্মা এবং সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বিজেপির উত্তরপূর্বের আহ্বায়ক সম্বিত পাত্রও ছিলেন বৈঠকে ।
জানা গিয়েছে, প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করার পাশাপাশি নির্বাচনী রণকৌশল নিয়েও আলোচনা হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থেকে শুরু করে দলের শীর্ষ নেতারাও থাকবেন প্রচারে । সেই ব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে । এরপর শুক্রবার বৈঠকে বসবে দলের নির্বাচন কমিটি । তারপরই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে বিজেপি । 60 সদস্য বিশিষ্ট বিধানসভায় ভোট হবে 16 ফেব্রুয়ারি । ত্রিপুরার সঙ্গে মেঘালয় এবং নাগাল্যান্ডেও ভোট হচ্ছে । 27 তারিখ এই দুটি রাজ্যে ভোট হবে। তিনটি রাজ্যেই ভোট গণনা 2 মার্চ ।
ত্রিপুরার নির্বাচন নিয়ে বাংলার রাজনৈতিক মহলের আগ্রহ চিরকালই বেশি। একটা সময় এই দুটি রাজ্যে একযোগে ক্ষমতায় ছিল বামেরা । 2011 সালে বাংলায় বামফ্রন্ট সরকারের পতন হলেও ত্রিপুরায় 2018 সাল পর্যন্ত সরকার চালিয়েছে বামেরাই । বেশ খানিকটা অপ্রত্যাশিতভাবে 2018 সালের বিধানসভা নির্বাচনে সরকারে আসে বিজেপি। তারপর থেকে দ্রুত সাংগঠনিক শক্তি বাড়তে থাকা গেরুয়া শিবিরের । পঞ্চায়েত নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি বিরোধিরা। সেটা বিজেপির সাংগঠনিক শক্তির সেরা বিজ্ঞাপন। তবে বিরোধীরা অবশ্য বিজেপির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছিল ।
বাংলার পড়শি রাজ্যে বাঙালি ভাবাবেগকে কাজে লাগিয়ে সংগঠন বিস্তারের কাজ শুরু করেছে তৃণমূলও। তবে বছর খানেক আগের পৌরসভা নির্বাচনে একেবারেই ছাপ ফেলতে ব্যর্থ হয় বাংলার শাসক দল। এরপরও নিজেদের সাংগঠনিক শক্তির উপরই আস্থা রেখেছে তৃণমূল । কারও সঙ্গে জোট না-করে রাজ্যর সমস্ত আসনেই প্রার্থী দেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল । অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের মতো ত্রিপুরাতেও বাম-কংগ্রেস জোট চূড়ান্ত ।
আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় বাম-কংগ্রেস জোট নিয়ে সরব তৃণমূল ও বিজেপি