ভগবানপুর (পূর্ব মেদিনীপুর), 9 নভেম্বর : মহম্মদপুরে বিজেপি নেতাকে অপহরণ করে পিটিয়ে খুনের ঘটনায় অবশেষে গ্রেফতার এলাকার তৃণমূল নেতা । বাকি 36 জন অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ । অভিযুক্ত যুবকের নাম তাপস দলপতি । তার বাড়ি ভগবানপুর থানার মহম্মদপুর গ্রামে।
আরও পড়ুন : Cabinet Reshuffle : মন্ত্রিসভার রদবদলে 3 মন্ত্রীকে বাড়তি দায়িত্ব, অর্থের উপদেষ্টা অমিত
গত রবিবার ভোররাতে বিজেপির শক্তিকেন্দ্রের প্রমুখ চন্দন মাইতি ওরফে শম্ভুকে রাস্তা থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা । এরপর কেলেঘাই নদীর পাড়ে নিয়ে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় । পরিবারের লোকেরা জানতে পেরে ভগবানপুর থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ভগবানপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায় । অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে তমলুক জেলা হাসপাতালে হস্তান্তর করা হয় । রাস্তায় নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় ওই বিজেপি নেতার ।
মৃতের স্ত্রী লক্ষ্মীরানি মাইতি এলাকার তৃণমূল নেতা-সহ 36জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে সোমবার রাতভর তল্লাশি চালিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনো রোডের একটি লজ থেকে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ । কাঁথি মহকুমা আদালতে তাকে তোলা হলে, মহকুমা আদালত 12 দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন । ভগবানপুর থানার ওসি নাড়ুগোপাল বিশ্বাস বলেন, "অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে । তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্তকে হেফাজতে চাওয়া হয়েছে । পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে ।’’
ভগবানপুরের তৃনমূল নেতা অভিজিৎ দাস বলেন, ‘‘আইন আইনের পথে চলবে। পুলিশ তদন্ত করে দোষী ব্যাক্তিদের গ্রেফতার করুক । বিজেপি বেছে বেছে তৃনমূল নেতাদের নামে অভিযোগ দায়ের করেছে ৷ পুলিশ তদন্ত করুক এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিক ।’’ স্থানীয় বিজেপি নেতা দেবব্রত কর বলেন, ‘‘মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে সান্ত্বনা দিতে চাইছে পুলিশ । বাকি অভিযুক্তদেরও অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে ।’’