কোরাপুট (ওড়িশা), 8 সেপ্টেম্বর: নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত জি20 শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন ওড়িশার কোরাপুট জেলার কুন্দুরা ব্লকের আদিবাসী মহিলা কৃষক রাইমতি ঝিউরিয়া ৷ ইতিমধ্যেই দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন তিনি ৷ রাইমতি জানিয়েছেন, কোরাপুট অঞ্চলে চাষ করা বিভিন্ন জাতের রাগি ও অন্যান্য বাজরা শস্য সম্পর্কে তথ্য শেয়ার করবেন ৷
নুয়াগুড়া গ্রামের বাসিন্দা রাইমতি নয়া বিপ্লবের নাম বলাই যায়। রাইমতি একজন মহিলা কৃষক ৷ তিনি জৈব চাষের উপর জোর দেওয়া একজন প্রশিক্ষক হিসেবে খ্যাত ৷ পরিবারের সদস্যদের সাহায্যে তিনি তাঁর জমিতে ধান ও বাজরা সংরক্ষণে এগিয়ে আসেন ৷ তারপর তিনি অন্যান্য কৃষক পরিবারকে স্থানীয় জেনেটিক সম্পদ সংরক্ষণ বিষয়টি শিখিয়েছিলেন ৷ তিনি 72টি ঐতিহ্যবাহী ধানবীজ ও 30টি জাতের বাজরা সংরক্ষণ করেছেন ৷ গ্রামেই প্রতিষ্ঠা করেছেন বামানদাই ফার্মার্স প্রোডিউসার্স কোম্পানি লিমিটেড নামে একটি এফপিও ৷ এটি জৈব সার ও জৈব কীটনাশক তৈরি, বিক্রয়, সংগ্রহ, বাজরা বিপণন ও বাজার মূল্য নিয়ে কাজ করে ৷ তিনি তাঁর গ্রামে একটি ফার্ম স্কুল প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন ৷
তাঁর দৃঢ় নেতৃত্ব ও বহু দক্ষ কর্মকাণ্ডের কারণে তিনি একাধিক পুরস্কার ও স্বীকৃতি পেয়েছেন ৷ স্বামীনাথন রিসার্চ ফাউন্ডেশনের ডিরেক্টর ইন চার্জ প্রশান্ত প্যাগোডা জানিয়েছেন, রাইমতি সেই দলের সদস্য যা 2012 সালে পিপিভি এবং এফআর অথরিটি নয়াদিল্লি থেকে জিনোম সেভার কমিউনিটি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে ৷ তাঁকে স্বামীনাথন রিসার্চ ফাউন্ডেশন সহায়তা করেছে ৷ এটি জৈব বাজরা চাষ ও বীজ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে একটি শীর্ষস্থানীয় গবেষণা কেন্দ্র ৷ কৃষি কর্মকর্তা তাপস চন্দ্র রায়ের মতে, বিশ্ব যখন বাজরারে গুরুত্ব দিচ্ছে তখন কোরাপুটের রাগির গুরুত্ব রাষ্ট্রনেতাদের সামনে তুলে ধরবেন রাইমতি ৷
তিনি জানান,বছর দুয়েক আগে পদ্মশ্রী কমলা পূজারি ঐতিহ্যবাহী ধান সংরক্ষণের ক্ষেত্রে অসাধারণ কাজ করে জোহানেসবার্গে আন্তর্জাতিক ফোরামে কোরাপুট অঞ্চলে চাষ করা শত শত ধরনের ধানের বিষয়ে তথ্য উপস্থাপন করে জেলার গৌরব এনেছিলেন ৷ এখন রাইমতি একইভাবে তাঁর ক্ষেত্রে ঐতিহ্যবাহী ধান ও রাগি সংরক্ষণ করে কোরাপুট অঞ্চলকে মহিমান্বিত করেছেন ৷