ইম্ফল, 20 নভেম্বর: নতুন করে হিংসার ঘটনা ঘটল মণিপুরে ৷ সোমবার ওই রাজ্যের কাংপোকপি জেলায় এই ঘটনা ঘটে ৷ পুলিশ জানিয়েছে, সেখানে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গুলির লড়াই হয় ৷ সেই গুলির লড়াইয়ে প্রাণ গিয়েছে দু’জনের ৷ মণিপুরের হারাওথেল ও কোবশা গ্রামের মধ্যবর্তী এলাকায় এই গুলির লড়াই হয় ৷ তবে কী কারণে এই গুলির লড়াই হল, সেই বিষয়ে এখনও নিশ্চিত কোনও তথ্য পায়নি পুলিশ ৷
কমিটি অন ট্রাইবাল ইউনিটি বা সোটু নামে আদিবাসীদের একটি সংগঠনের দাবি, কুকি-জো সম্প্রদায়ের লোকেদের উপর আক্রমণ করা হয় ৷ এর জেরে জেলায় সবকিছু বন্ধ রাখার ঘোষণা করা হয়েছে ওই সংগঠনের তরফে ৷ কাংপোকপি এলাকার ওই সংগঠন কুকি-জো সম্প্রদায়ের উপর এই হামলার নিন্দা করেছে ৷ পাশাপাশি একটি বৈঠকে ওই সংগঠনের তরফে দাবি তোলা হয়েছে যে সরকার আদিবাসীদের জন্য আলাদা প্রশাসনের ব্যবস্থা করুক ৷
চলতি বছরের মে মাস থেকে উত্তপ্ত উত্তর পূর্ব ভারতের এই রাজ্যে ৷ সোমবার যে এলাকায় গুলির লড়াই ঘটেছে, গত কয়েকমাসের উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে ওই এলাকায় একাধিকবার গোলমাল ছড়িয়েছে ৷ মূলত, মেইতেই ও কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যেই এই গোলমাল ছড়ায় ৷ ফলে ঘটনার খবর পাওয়ার পরই সতর্ক হয়েছে প্রশাসন ৷ ওই এলাকায় আরও বাহিনী পাঠানো হয়েছে বলে মণিপুর পুলিশ জানিয়েছে ৷ এলাকায় তল্লাশিও শুরু হয়েছে ৷ দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে পুলিশের তরফে ৷
মণিপুরে 53 শতাংশ মেইতেইদের বাস ৷ আর 40 শতাংশ নাগা ও কুকিরা থাকেন ৷ মেইতেইরা মূলত ইম্ফল উপত্যকার বাসিন্দা ৷ আর নাগা ও কুকিরা মূলত থাকেন পাহাড়ি জেলাগুলিতে ৷ মেইতেইরা তফশিলি উপজাতি ভুক্ত হওয়ার দাবি তুলেছে ৷ তার প্রতিবাদে গত 3 মে মণিপুরে ট্রাইবাল সলিডারিটি মার্চ আয়োজন করা হয় ৷ সেই মিছিলের পর থেকে মণিপুর জ্বলতে শুরু করেছে ৷ এখনও পর্যন্ত ওই রাজ্যের 180 জন এই গোলামালে মারা গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে ৷
সংবাদসংস্থা - পিটিআই
আরও পড়ুন: