পটনা, 7 ডিসেম্বর: ট্রেন আসছে দেখেও বিক্ষোভে অনড় ৷ ট্রেন চলে গেল উপর দিয়ে! বিহারের পটনার বিহতায় রেলস্টেশনের কাছে লাইনে নেমে বিক্ষোভ করছিলেন কিছু আন্দোলনকারী ৷ কিন্তু এক্সপ্রেস ট্রেন আসছে দেখেও সেখানেই দাঁড়িয়ে থাকেন বিক্ষোভকারীরা ৷ ওই এক্সপ্রেস ট্রেনের নীচে শুয়ে পড়লেন এক ব্যক্তি ৷ ট্রেনও চলে যায় তাঁর উপর দিয়ে ৷ তবে ভাগ্যক্রমে, দুই লাইনের মাঝে শুয়ে পড়ায় তাঁর জীবন রক্ষা পায়।
গতকাল বুধবার, পটনার বিহতায় রেলওয়ে ট্র্যাকে বসে বিক্ষোভ দেখান রেলওয়ে সংঘর্ষ সমিতির বেশ কিছু কর্মকর্তা ৷ তাঁরা যখন লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন তখন একটি এক্সপ্রেস ট্রেন সেই লাইনে আসতে থাকে ৷ তবে বিক্ষোভস্থলের একেবারে গোড়ার কাছে এসে ওই এক্সপ্রেস (পটনা ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাস) আপ মেইন লাইনে থেমে যায় ৷ এই সময় আন্দোলনকারী চন্দন ভার্মা এবং রাজেন্দ্র যাদব ছাড়াও বিপুল সংখ্যক মানুষ রেললাইনে শুয়ে ছিলেন। ভাগ্যক্রমে, ট্রেনটি একেবারে কাছে এসে দাঁড়ানোর আগেই এক আন্দোলনকারী ট্র্যাকের মাঝে শুয়ে পড়ে ৷ আর ঠিক তারপর ট্রেনটি গিয়ে থামে ৷ এর ফলে যে কোনও বড়সড় দুর্ঘটনা হয়ে যেতে পারত তা বলার অপেক্ষা রাখে না ৷
সূত্রের খবর অনুযায়ী, রেলওয়ে সংঘর্ষ সমিতির শত শত কর্মী দানাপুর রেলওয়ে বিভাগের বিহতা স্টেশনে পৌঁছে বিহতা-ঔরঙ্গাবাদ রেল প্রকল্পের বিষয়ে রেলপথ অবরোধ করে। সবাই প্রতিবাদে ট্র্যাকে বসে স্লোগান দিচ্ছিলেন, বিক্ষোভ করছিলেন। এসময় সেখান দিয়ে একটি এক্সপ্রেস ট্রেন চলে যায়। এতেই আন্দোলনের মধ্যেই যে রেল প্রশাসনের চরম অবহেলা তা একবার ফের চোখে পড়ল বলে দাবি তুলেছেন ওই বিক্ষোভকারীরা ৷ সূত্রের আরও খবর, বিহতা-ঔরঙ্গাবাদ রেল প্রকল্প সংগ্রাম কমিটির ব্যানার নিয়ে এদিন সমস্ত আন্দোলনকারীরা পায়ে হেঁটে দানাপুর রেল বিভাগের বিহতা রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছেছিলেন।
তাঁরা পটনা-দিল্লি আপ মেইন লাইন অবরোধ করে রেখেছিলেন। আন্দোলনকারীরা ইতিমধ্যেই রেল প্রশাসন ও রেল বিভাগকে এনিয়ে তথ্যও জানিয়েছিলেন আগে। আচমকা ট্রেন আসায় কোনওভাবে মানুষ প্রাণ বাঁচাতে পারলেও রেললাইনের নীচে আটকা পড়েন চন্দন ভার্মা। তবে এ ঘটনায় এখনও কেউ প্রাণ হারাননি ৷ রেলের এই অবহেলার কারণে স্টেশনমাস্টার-সহ রেল প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
আরও পড়ুন: