দিল্লি, 28 জানুয়ারি: সাধারণতন্ত্র দিবসে প্রথম অবস্থানেই কৃষকদের ট্র্যাক্টর মিছিলের অনুমোদন দেওয়া উচিত হয়নি । 50 হাজার ট্র্যাক্টর নিয়ে কৃষকদের ভিড় সামলানো যে সম্ভব নয় সেটা বোঝা উচিত ছিল প্রশাসনের। এমনই মত দেশের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রসচিব জিকে পিল্লাই-এর । তিনি বলেন, প্রশাসনের বোঝা উচিত ছিল যে ট্র্যাক্টরকে অস্ত্র হিসেবেই ব্যবহার করবেন কৃষকরা।
মনমোহন সিং প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন জিকে পিল্লাই। তাঁর মতে, বিক্ষোভকারীদের দিল্লিতে প্রবেশ করার অনুমতি দেওয়া উচিত হয়নি প্রশাসনের। ইটিভি ভারতের একটি অনুষ্ঠানে দর্শকদের প্রশ্নের জবাবে পিল্লাই বলেন, ''ট্র্যাক্টর মিছিলে অনুমতি দেওয়াটাই একটা ভুল ছিল। ওদের বোঝা উচিত ছিল যে ট্র্যাক্টরকে ওরা অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করবে। ওদের কিছুতেই অনুমতি দেওয়া ঠিক হয়নি।''
2009-এর জুন থেকে 2011 সালের জুন পর্যন্ত দেশের স্বরাষ্ট্রসচিব ছিলেন পিল্লাই। সেই সময় বেশ কিছু কঠিন পরিস্থিতি দক্ষতার সঙ্গে সামলেছেন তিনি। তার মধ্যে একটি হল 2010 সালে মণিপুরে কয়েকটি নাগা দলের অর্থনৈতিক অবরোধ। পিল্লাই সাধারণতন্ত্র দিবসের সংঘর্ষ প্রসঙ্গে বলেছেন, ''ওদের বলা উচিত ছিল যে, তোমরা বিক্ষোভস্থলেই থাক । কোনও অবস্থাতেই সাধারণতন্ত্র দিবসে তোমাদের দিল্লিতে ঢুকতে দেওয়া যাবে না। একবার দিল্লিতে ঢুকে পড়ার পর ওদের বাধা দেওয়ার কোনও পথ ছিল না।''
26 জানুয়ারির ঘটনায় 22টি এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। জখম হয়েছেন 300-রও বেশি পুলিশকর্মী। ট্র্যাক্টর উলটে মৃত্যু হয় এক কৃষকের। সে দিনের পর থেকেই সেই ঘটনার থেকে নিজেদের পৃথক করার চেষ্টা চালিয়েছেন কৃষক নেতারা। তাঁদের দাবি, এর পেছনে তাঁরা জড়িত নয়। অন্য চক্রান্ত রয়েছে।
আরও পড়ুন: ট্রাক্টর উল্টেই কৃষক বিক্ষোভকারীর মৃত্যু, জানাল পুলিশ
আর এক নিরাপত্তা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল জিডি বক্সি আবার গোটা ঘটনাকেই পূর্ব পরিকল্পিত বলে মনে করছেন। ইটিভি ভারতের একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ''ওরা প্রোটোকল ভেঙেছিল এবং যে রুটে ওদের থাকতে বলা হয়েছিল, তার বাইরে চলে গিয়েছিল। ওরা ঐতিহ্যবাহী লাল কেল্লাতেও ঢুকে পড়ে। খুব খারাপভাবে ওরা ভারতীয় পতাকার পাশে নিজেদের পতাকা উত্তোলন করে। ট্র্যাক্টরগুলিকে ট্যাঙ্কের মতো ব্যবহার করেছে ওরা।''