জামনগর (গুজরাত), 14 জুন: সাইক্লোন বিপর্যয়ের আশঙ্কায় সতর্ক গুজরাতের স্বাস্থ্য দফতরও ৷ 73 জন অন্তঃসত্ত্বাকে ইতিমধ্যেই উপকূলের নিকটবর্তী বিপজ্জনক এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে ৷ তাঁদের একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভরতি করা হয় ৷ তাঁদের মধ্যে ন’জনের সফল প্রসবও হয়েছে ৷
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, যাঁদের নিয়ে আসা হয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে, তাঁদের আগামী সপ্তাহে প্রসব হওয়ার কথা ৷ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সারাক্ষণ চিকিৎসক ও নার্সিং স্টাফরা রয়েছেন ৷ সেখানে ওই অন্তঃসত্ত্বাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷ যাঁরা ইতিমধ্যে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন, তাঁদের এবং সদ্যোজাতদেরও পর্যাপ্ত যত্ন নেওয়া হচ্ছে ৷
এছাড়া সম্ভাব্য সাইক্লোন বিপর্যয়ের জেরে গুজরাতের জামনগর জেলায় রেড অ্যালার্টে জারি করা হয়েছে । স্বাস্থ্য দফতরের তরফে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ৷ দুর্যোগ মোকাবেলায় জেলার সব স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে প্রস্তুত করা হচ্ছে । র্যাপিড রেসপন্স মেডিক্যাল টিম এবং মোবাইল মেডিক্যাল টিম উপকূলীয় গ্রামগুলোতে অসুস্থ মানুষের স্বাস্থ্য ও আশ্রয়ের যত্ন নিচ্ছে । জেলার স্বাস্থ্য দল সমস্ত সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্থ গ্রামে পৌঁছেছে ৷
জামনগরের পান্থক এলাকায় বিপুল সংখ্যক পরিযায়ী শ্রমিক কাজ করেন ৷ তাঁরা সেখানে থাকেন ৷ যেহেতু সাইক্লোন বিপর্যয়ের জেরে ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, তাই প্রশাসনের তরফে প্রায় 70 হাজার মানুষকে সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে ৷
প্রসঙ্গত, সাইক্লোন বিপর্যয়ের আছড়ে পড়ার কথা আগামিকাল, 15 জুন ৷ তার আগে শুধু জামনগর নয়, গুজরাতের উপকূলবর্তী সমস্ত এলাকাতেই সতর্ক প্রশাসন ৷ ওই রাজ্যের আটটি জেলা থেকে সব মিলিয়ে প্রায় 38 মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৷ মঙ্গলবার বিপর্যয় মোকাবিলা নিয়ে বৈঠকও করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ৷ সেই বৈঠকে এনডিআরএফ-সহ বিপর্যয় মোকাবিলা সংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উপস্থিত ছিল ৷ এছাড়াও গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল-সহ অন্য মন্ত্রী এবং সাংসদ-বিধায়করাও উপস্থিত ছিলেন ৷