ETV Bharat / bharat

Abrogation of Article 370: উপত্যকায় 370 ধারা বিলোপের তিন বছর, কী ঘটেছিল সেদিন ?

সংবিধানের 370 ধারা বিলোপের পর কেটে গিয়েছে তিন বছর ৷ রাজ্য নয় জম্মু ও কাশ্মীর এখন একটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল ৷ লাদাখও পৃথক কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল (Jammu and Kashmir and Ladakh are now union territories ) ৷ ঠিক কী কী হয়েছিল সেদিন ? এখনইবা পরিস্থিতি কেমন ?

Abrogation of Jammu and Kashmir
70 ধারা বিলোপের তিন বছ
author img

By

Published : Aug 5, 2022, 9:22 AM IST

Updated : Aug 5, 2022, 10:23 AM IST

জম্মু, 5 অগস্ট: জাতীয় রাজনীতিতে এমন কয়েকটি দিন আছে যা দেশের সমগ্র রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটকেই বদলে দিয়েছে ৷ 2019 সালের 5 অগস্ট সেরকমই একটি দিন ৷ সেদিন সংবিধানের 370 এবং 35 এ ধারা বিলোপ করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার ৷ সংসদে সেই প্রস্তাব পাশও করিয়ে নেয় সরকার পক্ষ ৷ 370 ধারা কাশ্মীরকে কিছু বিশেষ ক্ষমতা দিত ৷ সেই ধারা প্রত্যাহার করতে বিল পেশ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ৷ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় বিজেপি অনায়াসেই বিলটি পাস করিয়ে নেয় (Modi government repelled article 370 and 35 A) ৷ আর তাতেই বদলে যায় জম্মু ও কাশ্মীর ৷ বিশেষ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে উপত্যকা ৷ শুধু তাই নয় আলাদা রাজ্যের তকমাও হারাতে হয় ৷ জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে তৈরি হয় একটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল (Jammu and Kashmir and Ladakh are now union territories) ৷ লাদাখ আরেকটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত হয় ৷ বাতিল হয়ে যায় জম্মু কাশ্মীরের সংবিধান ৷ সেই ঘটনার আজ তিন বছর ৷

গত তিন বছরে জাতীয় রাজনীতির সবচেয়ে বিতর্কিত প্রসঙ্গগুলির অন্যতম হয়ে থেকেছে এই 370 ধারা বিলোপ করার বিষয়টি ৷ কাশ্মীরের সমস্ত আঞ্চলিক দল শুরু থেকেই কেন্দ্রীয় সরকারের বিরোধিতা করে আসছিল ৷ সেই সুর এখনও শোনা গিয়েছে ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতাদের গলায় ৷ তাঁদের মতে 5 অগস্ট জম্মু কাশ্মীরের ইতিহাসে একটি কালো দিন ৷ উপত্যকার মানুষদের হতাশা এবং না-পাওয়ার সাক্ষী বহন করবে এই দিনটি ৷ তবে বাকি দলগুলি অবশ্য এখনও এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দেয়নি ৷

আরও পড়ুন: মুম্বইয়ে গ্রেফতার ছোটা-শাকিল ঘনিষ্ঠ সেলিম কুরেশি

বিতর্ক যে শুধু ওই ধারা বিলোপ করা নিয়ে হয়েছিল তা নয় মোটেই ৷ যে কায়দায় সমগ্র বিষয়টি ঘটানো হয়েছিল তারও সমালোচনা করে বিরোধী দলগুলি ৷ সংসদে বিল পেশ করার আগেই কাশ্মীরের নিরাপত্তা বেড়ে যায় অনেকটা ৷ তাছাড়া গ্রেফতার হন আঞ্চলিক দলের নেতারা ৷ আটক বা গৃহবন্দী হওয়ার তালিকায় ছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীরাও ৷ শ্রীঘরে যেতে হয় উপত্যকার বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারাও ৷ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ নিয়ে প্রতিবাদে সরব হয় বিরোধী শিবির ৷ তবে পরিস্থিতি বিশেষ বদলায়নি ৷ অপ্রীতিকর পরিস্থিতি আটকাতে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয় ৷ শুধু তাই নয়, প্রথম দিকে সব ধরনের নেটওর্য়াক থেকেই বিচ্ছিন্ন ছিল উপত্যকা ৷ সেদিন 370 ধারা বিলোপের পাশাপাশি নতুন একটি বিলও পেশ করে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ সেই আইনের বলেই এখন উপত্যকার শাসনভার আছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের হাতে ৷

জম্মু, 5 অগস্ট: জাতীয় রাজনীতিতে এমন কয়েকটি দিন আছে যা দেশের সমগ্র রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটকেই বদলে দিয়েছে ৷ 2019 সালের 5 অগস্ট সেরকমই একটি দিন ৷ সেদিন সংবিধানের 370 এবং 35 এ ধারা বিলোপ করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার ৷ সংসদে সেই প্রস্তাব পাশও করিয়ে নেয় সরকার পক্ষ ৷ 370 ধারা কাশ্মীরকে কিছু বিশেষ ক্ষমতা দিত ৷ সেই ধারা প্রত্যাহার করতে বিল পেশ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ৷ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় বিজেপি অনায়াসেই বিলটি পাস করিয়ে নেয় (Modi government repelled article 370 and 35 A) ৷ আর তাতেই বদলে যায় জম্মু ও কাশ্মীর ৷ বিশেষ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে উপত্যকা ৷ শুধু তাই নয় আলাদা রাজ্যের তকমাও হারাতে হয় ৷ জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে তৈরি হয় একটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল (Jammu and Kashmir and Ladakh are now union territories) ৷ লাদাখ আরেকটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত হয় ৷ বাতিল হয়ে যায় জম্মু কাশ্মীরের সংবিধান ৷ সেই ঘটনার আজ তিন বছর ৷

গত তিন বছরে জাতীয় রাজনীতির সবচেয়ে বিতর্কিত প্রসঙ্গগুলির অন্যতম হয়ে থেকেছে এই 370 ধারা বিলোপ করার বিষয়টি ৷ কাশ্মীরের সমস্ত আঞ্চলিক দল শুরু থেকেই কেন্দ্রীয় সরকারের বিরোধিতা করে আসছিল ৷ সেই সুর এখনও শোনা গিয়েছে ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতাদের গলায় ৷ তাঁদের মতে 5 অগস্ট জম্মু কাশ্মীরের ইতিহাসে একটি কালো দিন ৷ উপত্যকার মানুষদের হতাশা এবং না-পাওয়ার সাক্ষী বহন করবে এই দিনটি ৷ তবে বাকি দলগুলি অবশ্য এখনও এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দেয়নি ৷

আরও পড়ুন: মুম্বইয়ে গ্রেফতার ছোটা-শাকিল ঘনিষ্ঠ সেলিম কুরেশি

বিতর্ক যে শুধু ওই ধারা বিলোপ করা নিয়ে হয়েছিল তা নয় মোটেই ৷ যে কায়দায় সমগ্র বিষয়টি ঘটানো হয়েছিল তারও সমালোচনা করে বিরোধী দলগুলি ৷ সংসদে বিল পেশ করার আগেই কাশ্মীরের নিরাপত্তা বেড়ে যায় অনেকটা ৷ তাছাড়া গ্রেফতার হন আঞ্চলিক দলের নেতারা ৷ আটক বা গৃহবন্দী হওয়ার তালিকায় ছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীরাও ৷ শ্রীঘরে যেতে হয় উপত্যকার বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারাও ৷ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ নিয়ে প্রতিবাদে সরব হয় বিরোধী শিবির ৷ তবে পরিস্থিতি বিশেষ বদলায়নি ৷ অপ্রীতিকর পরিস্থিতি আটকাতে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয় ৷ শুধু তাই নয়, প্রথম দিকে সব ধরনের নেটওর্য়াক থেকেই বিচ্ছিন্ন ছিল উপত্যকা ৷ সেদিন 370 ধারা বিলোপের পাশাপাশি নতুন একটি বিলও পেশ করে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ সেই আইনের বলেই এখন উপত্যকার শাসনভার আছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের হাতে ৷

Last Updated : Aug 5, 2022, 10:23 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.