নয়াদিল্লি, 17 এপ্রিল : করোনাকালে ‘‘প্রতীকী’’ভাবে কুম্ভমেলা পালনের পক্ষে সওয়াল করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ মহামারিকে নিয়ন্ত্রণে আনতেই এই আবেদন রেখেছেন তিনি ৷ ঠিক যখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে নাকাল গোটা ভারত, তখনই কুম্ভমেলা উপলক্ষে হরিদ্বারে ভিড় জমিয়েছেন হাজার হাজার পুণ্যার্থী ৷ কোভিড বিধি শিকেয় তুলেই গঙ্গাস্নান করছেন তাঁরা ৷ যা দেখে কপালে ভাঁজ পড়েছে বিশেষজ্ঞদের ৷ তাঁদের আশঙ্কা, এর ফলে হাজার হাজার পুণ্যার্থী সংক্রমিত হয়ে পড়তে পারেন ৷ আর তাঁদের থেকে তা ছড়িয়ে পড়তে পারে গোটা দেশে ৷ এই প্রেক্ষাপটেই শুক্রবার সকালে প্রতীকী কুম্ভমেলা পালনের পক্ষে মুখ খুললেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী ৷
-
मैंने प्रार्थना की है कि दो शाही स्नान हो चुके हैं और अब कुंभ को कोरोना के संकट के चलते प्रतीकात्मक ही रखा जाए। इससे इस संकट से लड़ाई को एक ताकत मिलेगी। @AvdheshanandG
— Narendra Modi (@narendramodi) April 17, 2021 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="
">मैंने प्रार्थना की है कि दो शाही स्नान हो चुके हैं और अब कुंभ को कोरोना के संकट के चलते प्रतीकात्मक ही रखा जाए। इससे इस संकट से लड़ाई को एक ताकत मिलेगी। @AvdheshanandG
— Narendra Modi (@narendramodi) April 17, 2021मैंने प्रार्थना की है कि दो शाही स्नान हो चुके हैं और अब कुंभ को कोरोना के संकट के चलते प्रतीकात्मक ही रखा जाए। इससे इस संकट से लड़ाई को एक ताकत मिलेगी। @AvdheshanandG
— Narendra Modi (@narendramodi) April 17, 2021
এদিন টুইট করে প্রধানমন্ত্রী জানান, ইতিমধ্যেই হিন্দু ধর্ম আচার্য সভার সভাপতি স্বামী অবধেশানন্দ গিরিজি মহারাজের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন তিনি ৷ প্রধানমন্ত্রী তাঁকে জানান, কুম্ভমেলার মতো যেকোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দলে দলে পুণ্যার্থীরা এক জায়গায় জড়ো হন ৷ যার ফলে সংক্রমণ মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়তে পড়ে ৷
আরও পড়ুন : কুম্ভে 5 দিনে কোভিডে আক্রান্ত 2167, সংক্রমিত 30 সাধু
প্রসঙ্গত, এর আগে গত বুধবার কয়েকটি হিন্দু আখরার তরফে জানানো হয়, মহামারির আবহে পুণ্যস্নান বন্ধ রাখবে তারা ৷ এমনকী, কুম্ভমেলা বন্ধ করতেও রাজি হয়ে যায় তারা ৷ কিন্তু, দ্রুত সেই সিদ্ধান্ত প্রত্য়াহারও করে নেওয়া হয় ৷ সরকারি আধিকারিকরা এ নিয়ে আলোচনার কথা বললেও, স্থির হয়েছে পূর্ব নির্ধারিত সূচি মেনেই চলবে কুম্ভমেলা ৷
হরিদ্বারের জেলাশাসক এবং কুম্ভমেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক দীপক রাওয়াত এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘কুম্ভমেলা হওয়ার কথা ছিল গত জানুয়ারি মাসে ৷ কিন্তু করোনার কারণেই সেই নির্ঘণ্ট পিছিয়ে এপ্রিলে নিয়ে আসে রাজ্য় সরকার ৷ কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছে, এই পরিস্থিতে মেলার সময়সীমা কমানো হতে পারে ৷ কিন্তু আমার কাছে এই সংক্রান্ত কোনও তথ্য নেই ৷’’
আরও পড়ুন : কুম্ভমেলা হতে পারে করোনার ‘সুপার স্প্রেডার’, চিন্তায় সরকার
এদিকে, কুম্ভমেলা নিয়ে এই টানাপোড়েনের মধ্যেই লাগাতার বেড়ে চলেছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৷ শনিবারের তথ্য বলছে, গত 24 ঘণ্টা নতুন করে খোঁজ মিলেছে 2 লাখ 34 হাজার 692 জন কোভিড রোগীর ৷ যা এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ দৈনিক সংক্রমণ ৷