নয়াদিল্ল, 15 মার্চ: দিল্লিতে দোস্তি আর বাংলায় কুস্তি এই নীতিতে সমর্থন নেই তৃণমূলের (Trinamool Congress) । তাই জাতীয় ক্ষেত্রে বিরোধী ঐক্যের পক্ষে সওয়াল করেও কংগ্রেসের (Congress) সংস্পর্শ এড়াচ্ছে তৃণমূল । প্রসঙ্গত, বুধবার নিয়ে তৃতীয় দিন কংগ্রেসের ডাকা বিরোধী রাজনৈতিক দলের বৈঠক এড়াল তৃণমূল কংগ্রেস ৷ একই সঙ্গে এদিন 17টি বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিতেও শুধুমাত্র 'কংগ্রেস ইস্যুকে' সামনে রেখেই যোগ দিল না ঘাসফুল শিবির ।
এদিন কংগ্রেস-সহ বাকি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির থেকে সমদূরত্ব বজায় রেখে নিজেদের কর্মসূচি নিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দল । বুধবার ইডি ও আদানি ইস্যুকে সামনে রেখে মিছিলের ডাক দিয়েছিল কংগ্রেস-সহ 17টি বিরোধীদল । সেখানে যোগ না দিয়ে এদিন গান্ধিমূর্তির সামনে নিজেদের মতো করে বিক্ষোভ দেখাল নিজের শাসক দল ।
এদিন কংগ্রেসের ডাকা বৈঠক ও বিরোধীদের মিছিল কর্মসূচিতে যোগ না দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় । তিনি বলেন, ‘‘বাংলার কংগ্রেস প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বে খোলাখুলি আহ্বান করেছেন তৃণমূলকে হারাতে বিজেপি-সহ সমস্ত বিরোধী দলকে এক হতে । সমস্ত দল এক হয়ে তৃণমূলকে হারাতে হবে । সেই কংগ্রেস যারা বাংলায় বিজেপিকে সমর্থন করছে, তারা দিল্লিতে বিজেপিকে হারাবে কীভাবে !’’
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘আমরা তো বিজেপি বিরোধী লোক, দিল্লিতে বিজেপির বন্ধুদের সঙ্গে আমরা কী করে থাকব ! প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury) বিজেপির সবচেয়ে বড় সমর্থক । তিনি শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) পা ধরে 24-এর নির্বাচনী যুদ্ধ জিততে চাইছেন । সেখানে কীভাবে তৃণমূল তাদের পাশে থাকবে ?’’
প্রসঙ্গত, সাগরদিঘির ফল ঘোষণার পর গত 2 মার্চ একলা চলোর ডাক দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । সেদিন তিনি বলেছিলেন, ‘‘তৃণমূল কংগ্রেস আর মানুষের জোট হবে, আমরা বিরোধীদের কারও সঙ্গে যাব না । আমরা একা লড়ব মানুষের সমর্থন নিয়ে । যাঁরা বিজেপিকে (BJP) হারাতে চান, তাঁরা আমাদের ভোট দেবেন আমি বিশ্বাস করি । যাঁরা কংগ্রেস সিপিএমকে ভোট দেবেন, তাঁরা বিজেপির হাতকে শক্ত করবেন । কংগ্রেস, সিপিএম, বিজেপি যে এক, তার প্রমাণ তো সাগরদিঘির ভোটেই হয়ে গিয়েছে ।’’
বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের প্রতিধ্বনি এদিন শোনা গিয়েছে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায় । আর তাতেই রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি 24-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে একলা চলো নীতিকেই অস্ত্র করছে তৃণমূল !
আরও পড়ুন: আদানি ইস্যুতে মোদিকে অস্কার খোঁচা মহুয়ার