নয়াদিল্লি, 16 মার্চ: বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়েছে গত সোমবার। সেই তবে থেকে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা নাকি শুধু বিজেপির মন্ত্রীদের কথা বলার সুযোগ দিচ্ছেন । তাঁদের বলা হয়ে গেলেই সংসদ মুলতবি করে দিচ্ছেন। আর তাই বিরোধী সদস্যরা নিজেদের মত ব্যক্ত করার সুযোগ পাচ্ছেন না । এমনই দাবি, কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর। টুইটার হ্যান্ডেলে বুধবার মধ্যরাতে এমনই দাবি করেছেন তিনি। পাশাপাশি তাঁর স্পষ্ট দাবি, দেশে গণতন্ত্র আক্রান্ত এবং স্পিকার এই বিষয় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আর এ কথা বলার জন্য যদি জেলেও যেতে হয় তাহলেও আপত্তি নেই মহুয়ার (Mahua Moitra feels democracy is under attack)।
-
Last 3 days saw speaker @ombirlakota allow ONLY BJP ministers to speak on mike & then adjourn parliament with not single opposition member being allowed to speak.
— Mahua Moitra (@MahuaMoitra) March 15, 2023 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="
Democracy IS under attack. And the speaker leads from the front. And I am willing to go to jail for this tweet.
">Last 3 days saw speaker @ombirlakota allow ONLY BJP ministers to speak on mike & then adjourn parliament with not single opposition member being allowed to speak.
— Mahua Moitra (@MahuaMoitra) March 15, 2023
Democracy IS under attack. And the speaker leads from the front. And I am willing to go to jail for this tweet.Last 3 days saw speaker @ombirlakota allow ONLY BJP ministers to speak on mike & then adjourn parliament with not single opposition member being allowed to speak.
— Mahua Moitra (@MahuaMoitra) March 15, 2023
Democracy IS under attack. And the speaker leads from the front. And I am willing to go to jail for this tweet.
বেশ কিছুদিনের বিরতির পর চলতি সপ্তাহে আবারও বাজেট অধিবেশন শুরু হয়েছে সংসদের দুই কক্ষে। প্রথম থেকেই বিরোধীদের উপর চাপ বাড়াতে বিশেষ রণকৌশল নিয়েছে বিজেপি । এ ব্যাপারে গেরুয়া শিবিরের হাতিয়ার প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধির কয়েকটি বক্তব্য। সম্প্রতি ইংল্যান্ডে গিয়ে প্রথমে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের সামনে এবং পরে একটি সাক্ষাৎকারে ভারতের গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি নিয়ে বেশ কয়েকটি মন্তব্য করেন রাহুল। তাঁর বক্তব্যেও উঠে আসে ভারতে গণতন্ত্র বিপন্ন। পাশাপাশি রাহুলও দাবি করেন, বিরোধী নেতারা যখন সংসদে কথা বলেন তখন মাইক্রোফোন স্তব্ধ হয়ে যায়। ফলে তাঁদের কথা কেউ শুনতে পায় না । মহুয়ার টুইটেও কার্যত একই সুর ধ্বনিত হল।
রাহুলের বক্তব্যকে হাতিয়ার করেই বিরোধীদের উপর চাপ বাড়াতে শুরু করে বিজেপি। অধিবেশন শুরুর আগে থেকেই বিজেপি নেতারা দাবি করতে থাকেন, এভাবে বিদেশের মাটিতে ভারতকে অসম্মান করা হয়েছে । বিতর্কের রেশ এসে পড়ে সংসদেও । রাজ্যসভায় বিজেপির দলনেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীয়ূষ গোয়েল দাবি করেন, এমন মন্তব্যের জন্য রাহুলকে সংসদের উচ্চকক্ষে এসে ক্ষমা চাইতে হবে। এবার মহুয়াও দাবি করলেন গণতন্ত্র আক্রান্ত। তাঁর নিশানায় খোদ লোকসভার অধ্যক্ষ। স্বভাবতই বৃহস্পতিবার সংসদের বাইরে এবং ভেতরে এ নিয়ে পালটা প্রতিক্রিয়া দেবে গেরুয়া শিবিরও। পাশাপাশি অন্য কোনও পদক্ষেপ করা হয় কিনা সেটাও দেখার এখন।
আরও পড়ুন: আদানি ইস্যুতে মোদিকে অস্কার খোঁচা মহুয়ার