দিল্লি, 4 ফেব্রুয়ারি: সংসদের মর্যাদা নষ্ট করেছে কেন্দ্রীয় সরকারের ঔদ্ধত্য। রাজ্যসভায় কৃষি আইন নিয়ে বলার সময় নরেন্দ্র মোদি সরকারকে এ ভাবেই তুলোধোনা করলেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন। কেন্দ্রের উদ্দেশে তিনি বলেন, 'আগে দিল্লি সামলান, তারপর বাংলা সামলাবেন।' আজ রাজ্যসভায় ফের কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে সরব হয় কংগ্রেস-সহ অন্য়ান্য বিরোধী দল।
রাজ্যসভায় বৃহস্পতিবার কৃষি আইন নিয়ে একযোগে সুর চড়ায় বিরোধী দলগুলি। তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন চাঁছাছোলা ভাষায় বলেন, ''সব ক্ষেত্রে দেশকে পরাজিত করেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। ঔদ্ধত্যের কারণে সংসদের মর্যাদা রক্ষায় ব্যর্থ কেন্দ্র। 2020 সালের 20 সেপ্টেম্বর কৃষকদের সমর্থনে দাঁড়ানো সাতজন সাংসদকে বরখাস্ত করা হয়েছিল...যে কৃষকরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে উঠে দাঁড়াচ্ছি।'' ডেরেক মনে করিয়ে দেন যে, কৃষি আইন স্থগিত করে যে সিলেক্ট কমিটিতে পাঠাতে বলা হচ্ছে, সেই কমিটির নেতৃত্বে সরকারেরই কেউ থাকবেন। এবং লোকসভার সংখ্য়ার বিচারে কমিটির সদস্যেও সরকারেরই সংখ্যাধিক্য থাকবে।
আরও পড়ুন: ''অন্নদাতাদের সঙ্গে এই ব্যবহার দুঃখজনক'', গাজিপুরে বিরোধীদের আটকাল পুলিশ
কৃষক বিক্ষোভে আন্তর্জাতিক মহলের বিভিন্ন মন্তব্যের প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ বলেন, ''কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে যেভাবে বাইরে থেকে মন্তব্য ধেয়ে আসছে, তাতে আমরা উদ্বিগ্ন। কিন্তু, অব কি বার ট্রাম্প সরকার কে বলেছিলেন? আর এখন আমরা বলছি, এটা অভ্যন্তরীণ বিষয়।''
ব্রিটিশ আমলের কৃষি আইন বাতিলের দৃষ্টান্ত টেনে এনে নয়া তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ গুলাম নবি আজাদ। রাষ্ট্রপতির ধন্যবাদ জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে রাজ্যসভায় বক্তব্য রাখেন উড়িষ্যার সাংসদ প্রসন্ন আচার্য, তেলেঙ্গানার সাংসদ কে কেশব রাও, তামিলনাড়ুর সাংসদ তিরুচি শিবা, সমাজবাদী পার্টির সাংসদ রাম গোপাল যাদব, কেরালার সাংসদ এলামারাম করিম ও অন্যান্যরা।