আগরতলা (ত্রিপুরা), 3 ফেব্রুয়ারি: ভোটের দিন যত এগিয়ে আসছে, ত্রিপুরায় প্রচারে ততই জোর বাড়াচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) ৷ প্রার্থী তালিকা ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে ৷ তাই সকাল থেকে রাত, প্রচারে ব্যস্ত থাকছেন ঘাসফুলের প্রার্থীরা ৷ কার্যত ঘরে ঘরে গিয়ে জনসংযোগ করছেন তাঁরা ৷
ত্রিপুরাকে একসময় বামদুর্গ বলা হত ৷ টানা তিনদশক সেখানে বামফ্রন্টের সরকার ছিল ৷ কিন্তু সেই দুর্গ 2018-তেই ধূলিস্যাৎ হয়ে যায় গেরুয়া ঝড়ে ৷ ক্ষমতায় আসে বিজেপি (BJP) ৷ পাঁচ বছর পর সেই জয় ধরে রাখার লড়াইয়ে নেমেছে বিপ্লব দেব-মানিক সাহার দল ৷ আর সেই লড়াইয়ে বিজেপির অন্যতম প্রতিপক্ষ তৃণমূল কংগ্রেস ৷
2018 সালের অনেক আগে থেকেই উত্তর পূর্ব ভারতের এই রাজ্যে সংগঠন বিস্তারের চেষ্টা করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের (Mamata Banerjee) দল ৷ মাঝে সাফল্য এলেও পরে তা ধরে রাখতে পারেনি ঘাসফুল শিবির ৷ কিন্তু 2021 সালের মাঝামাঝি সময় থেকে এই রাজ্যে সংগঠন বৃদ্ধির কাজ শুরু করে বাংলার শাসক দল ৷ একাধিক ত্রিপুরায় গিয়ে সভা করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Abhishek Banerjee) ৷ দিন কয়েকের মধ্যে তৃণমূলনেত্রীরও সেখানে প্রচারে যাওয়ার কথা ৷
এই পরিস্থিতিতে তাই প্রচারে জমি ছাড়তে নারাজ ঘাসফুল শিবিরের প্রার্থীরা ৷ রামনগরে প্রার্থী হয়েছেন পূজন বিশ্বাস, টাউন বরদৌলুইয়ের প্রার্থী অনন্ত বন্দ্যোপাধ্য়ায়, বনমালিপুরে প্রার্থী হয়েছেন শান্তনু সাহা (ত্রিপুরা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি) ৷ তাঁরা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনসংযোগ করছেন ৷ নিজেদের দলের কথা তুলে ধরছেন ৷
প্রচারের পাশাপাশি তৃণমূলের তরফে গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক বৈঠকও চলছে ৷ সেখানেই প্রচার সংক্রান্ত নানা পরিকল্পনা করছে নেতৃত্ব ৷ গতকাল বৃহস্পতিবার খোয়াইয়ে তেলিয়ামুড়ায় তৃণমূলের কার্যালয়ে এই ধরনের বৈঠক হয় ৷ সেখানে উপস্থিত ছিল রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব (TMC MP Sushmita Dev) ৷ এছাড়াও ছিলেন সংশ্লিষ্ট জেলার সমস্ত নেতারা ৷ অন্যদিকে উত্তর ত্রিপুরার কদমতলা কুর্তি বিধানসভা কেন্দ্রের পাঁচশোরও বেশি বিজেপি, সিপিএম ও কংগ্রেসের সমর্থক তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন ।
আরও পড়ুন: ত্রিপুরা বিধানসভা ভোটের জন্য তারকা প্রচারকদের তালিকা প্রকাশ তৃণমূলের