বিজনৌর, 19 মার্চ: খোলা মাঠে শৌচকর্ম সারতে গিয়ে চিতাবাঘের হামলার মুখে পড়তে হচ্ছে গ্রামের মানুষকে (Leopard Attack on Villagers) ৷ গত কয়েক মাসে বারবার এমন ঘটনায় চিন্তা বেড়েছে উত্তরপ্রদেশের কাজিওয়ালা গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে ৷ পরিস্থিতি সামলাতে গিয়ে বিপাকে পড়েছে স্থানীয় প্রশাসনও ৷ তথ্য বলছে, গত একমাসে চিতাবাঘের হামলায় প্রাণ গিয়েছে তিনজনের ৷ আহত হয়েছেন আরও অন্তত আটজন ৷
গ্রামবাসীর অভিযোগ, তাঁদের অধিকাংশের বাড়িতেই পাকা শৌচালয় নেই ৷ তাছাড়া, প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এই গ্রামের মানুষ উন্মুক্ত স্থানে মল, মূত্র ত্যাগ করেই অভ্যস্থ ৷ কিন্তু, সেই বদভ্য়াস ও পরিকাঠামোগত অভাবের খেসারত যে এভাবে দিতে হবে, তা স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি তাঁরা ৷
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবারও চিতাবাঘের হামলায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ৷ শিকার হন 42 বছরের মিথলেশ দেবী ৷ নাগিনা শহর লাগোয়া জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি ৷ সেই সময়েই চিতাবাঘের হামলার মুখে পড়তে হয় তাঁকে ৷ যখন হামলার ঘটনাটি ঘটে প্রাণ ভয়ে চিৎকার করে ওঠেন মিথলেশ ৷ সেই চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে যান গ্রামের অন্য বাসিন্দারা ৷ কিন্তু, ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে ৷ গ্রামবাসী ঘটনাস্থল থেকে মিথলেশের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করেন ৷ মিথলেশের স্বামী হরি সিং এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, "মাঠে কাজ করতে গিয়েছিলেন আমার স্ত্রী ৷ সেখান থেকে জঙ্গলের দিকে যান তিনি ৷ সেই সময়েই চিতাবাঘ তাঁর উপর হামলা চালায় ৷ ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর ৷"
আরও পড়ুন: চলন্ত স্কুটারে চিতাবাঘের হানা, জলপাইগুড়িতে প্রাণ গেল এক গ্রামবাসীর
স্থানীয় বনাধিকারিক অমর সিং ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, "মৃত মহিলার বাড়িতে শৌচালয় আছে ৷ তিনি প্রতিদিনের মতো কাজে বেরিয়েছিলেন ৷ মাঠের কাজ করতে গিয়েছিলেন তিনি ৷ তার মধ্যেই এই ঘটনা ঘটে যায় ৷ চিতাবাঘের হামলায় প্রাণ যায় ওই মহিলার ৷ চিতাবাঘের আনাগোনার প্রমাণ পেয়েছি আমরা ৷ আমাদের পাতা ক্য়ামেরা ফাঁদে চিতাবাঘের ছবি ধরা পড়েছে ৷ প্রাণীটিকে ধরতে খাঁচাও পাতা হয়েছে ৷"