লুধিয়ানা, 22 মে: একই পরিবারের তিনজন সদস্যকে নৃশংসভাবে খুন করার অভিযোগ উঠেছে ৷ ঘটনাটি ঘটেছে পঞ্জাবের লাদোয়াল থানা এলাকার নুরপুর বেট গ্রামে ৷ নিহতদের মধ্যে একজনের নাম কুলদীপ সিং ৷ তিনি 2019 সালে পঞ্জাব পুলিশ থেকে অবসর নেন ৷ তিনি সাব ইনস্পেক্টর হিসেবে কাজ করতেন ৷ তাঁর ছেলে ও স্ত্রী এই ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৷ পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ৷ তবে আততায়ীদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি ৷
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, কুলদীপের ছেলে বিবাহিত ৷ তাঁর স্ত্রী বাপেরবাড়ি গিয়েছেন ৷ রবিবার রাতে তিনি শ্বশুরবাড়িতে ফোন করেন ৷ কিন্তু কেউ ফোন ধরেননি ৷ বারবার ফোন করার পর কোনও উত্তর না পেয়ে তিনি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন ৷ ফোনেই প্রতিবেশীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন ৷ তখন তাঁরা খোঁজ নিতে গিয়ে অনেক ডাকাডাকি করেও কাড়া সাড়া পাননি ৷ তখন দরজা ভাঙা হয় ৷
প্রতিবেশীদের দাবি, দরজা ভাঙার পর তাঁরা দেখেন বাড়ির মধ্যে তিনজনের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে ৷ সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় থানায় খবর দেওয়া হয় ৷ পুলিশ যায় ৷ পুলিশ জানিয়েছে, মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে তিনজনকে মারা হয় ৷ ঘটনাস্থলে যান পুলিশ কমিশনার মনদীপ সিধু ৷ তিনি জানিয়েছেন, কুলদীপের বাড়িতে নিকাশি মেরামতি চলছিল ৷ বাইরে থেকে শ্রমিকরা এসে কাজ করছিলেন ৷ তাঁদের মধ্যে কেউ এই ঘটনা ঘটিয়েছে কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷
পুলিশ আপাতত এলাকার সিটিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখছে ৷ কারা সেখানে কাজ করছিলেন, সেই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানার চেষ্টা করা হচ্ছে ৷ জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে কুলদীপের পুত্রবধূকেও ৷ যেহেতু তিনি ঘটনার সময় সেখানে ছিলেন না, তাই তাঁকে সন্দেহের ঊর্ধ্বে রাখছে না পুলিশ ৷ খুনের নেপথ্যে পারিবারিক কোনও কারণ আছে কি না, সেটাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ ৷
এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে ৷ তাঁদের দাবি, পুলিশ দ্রুত ঘটনার তদন্ত শেষ করে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করুক ৷ না হলে এলাকায় এমন ঘটনা আরও ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয় বাসিন্দাদের ৷
আরও পড়ুন: 12 বছরের কিশোরকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার তিন নাবালক বন্ধু