দান্তেওয়াড়া, 24 ডিসেম্বর: দান্তেওয়াড়ায় পুলিশ ও মাওবাদীদের মধ্যে সংঘর্ষের খবর মিলেছে ৷ ঘটনায় তিন মাওবাদী নিহত হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। কাটেকল্যাণের তুমাকপাল এলাকায় রবিবার এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে খবর। একইসঙ্গে, এনকাউন্টারের পর তিনজন মাওবাদীর দেহও উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
দারভা বিভাগের দান্তেওয়াড়া এবং সুকমা সীমান্তে এদিন এনকাউন্টার করে পুলিশ ৷ মাওবাদী-পুলিশ সংঘর্ষে দান্তেওয়াড়া এবং সুকমা সীমান্তে হয়। জানা যাচ্ছে ডাব্বা কুন্নার জঙ্গলে এদিন পুলিশ এনকাউন্টার করে। পাশাপাশি তল্লাশি চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বোমা ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন এনকাউন্টারে নিহত তিন মাওবাদী অত্যন্ত দাগি বলেই পরিচিত ছিল ৷ রাজ্যে একাধিক মাও হানার সঙ্গে এরা জড়িত ছিল বলেও জানিয়েছে পুলিশ ৷
এদিন দান্তেওয়াড়া এবং সুকমার সীমান্তে এই সংঘর্ষ হয় বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ। রবিবার বিকেলে নিরাপত্তা বাহিনী তথ্য পায় যে, দান্তেওয়াড়া ও সুকমা সীমান্তে বিপুল সংখ্যক মাওবাদী জড়ো হয়েছে। এরপর ঘটনাস্থলে পাঠানো হয় ডিআরজি জওয়ানদের। ডিআরজি জওয়ানদের ঘটনাস্থলে পৌঁছতে সন্ধ্যা হয়ে যায় ৷ এরপর বিকেল সাড়ে পাঁচটায় ডিআরজি জওয়ান ও মাওবাদীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। দান্তেওয়াড়ার পুলিশ সুপার গৌরব রাইয়ের নির্দেশে এই অপারেশন করা হয় বলেও জানা গিয়েছে।
দান্তেওয়াড়ার পুলিশ সুপার গৌরব রাই বলেন, "কাটেকল্যান থানার সীমানায় সুকমা ও দান্তেওয়াড়া সীমান্তে মাওবাদীদের উপস্থিতি সম্পর্কে তথ্য পাওয়া গিয়েছিল। এর পরে ঘটনাস্থলে বাহিনী পাঠানো হয়। এরপরই সেখানে মাওবাদী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ হয় ৷ নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে তিন মাওবাদী ঘটনাস্থলেই মারা যায়।" তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে বলেও পুলিশ সুপার জানিয়েছেন। এই মুহূর্তে ঘটনাস্থলে বিশাল সংখ্যক নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি ৷
নিরাপত্তা বাহিনীর একটি দল এখনও ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি গোটা এলাকা এবং আশপাশেও তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। ডিআরজি জওয়ানদের সঙ্গেই সিআরপিএফ জওয়ান এবং বস্তার বাহিনীর একটি দলও পাঠানো হয়েছে ঘটনাস্থলে। এই বিষয়ে পুলিশ এর চেয়ে বেশি আর কোনও তথ্য প্রাথমিকভাবে প্রকাশ করতে রাজি হয়নি ৷ তল্লাশির সম্পূর্ণ হওয়ার পর আরও তথ্য প্রকাশ করা যেতে পারে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: