হাভেরি (কর্ণাটক), 23 ফেব্রুয়ারি: মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী হতে হল কর্ণাটকের (Karnataka) হাভেরি জেলার (Haveri) থন্ডুর গ্রামের বাসিন্দাদের ৷ একইসঙ্গে মৃত্যু হল এই এলাকার একটি পরিবারের তিনজন সদস্যের (Three Family Members Body Recovered) ! যা নিয়ে দানা বেঁধেছে রহস্য ৷ প্রতিবেশীদের দাবি, ওই তিনজনই আত্মহত্যা করেছেন ! প্রাথমিকভাবে স্থানীয় থানার পুলিশও তেমনটাই মনে করছে ৷ ঘটনায় মৃতরা হলেন হনুমন্ত গৌড়া পাতিল, তাঁর স্ত্রী ললিতা এবং তাঁদের মেয়ে নেত্রা ৷ মৃতদের মধ্য়ে হনুমন্তের বয়স 48 বছর ৷
স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, খুব সম্ভবত বুধবারই আত্মহত্যা করেন এই তিনজন ৷ কিন্তু, বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে বৃহস্পতিবার ৷ ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় স্থানীয় থানার পুলিশ ৷ তারা দেহ তিনটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় ৷ তবে, আনুষ্ঠানিকভাবে পুলিশ এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি ৷
আরও পড়ুন: শিশু-সহ দুই পরিবারের পাঁচ সদস্য আত্মঘাতী, চাঞ্চল্য বেঙ্গালুরুতে
থনডুর গ্রামে হনুমন্তের যে একতলা বাড়ি রয়েছে, সেটি দেখে তাঁকে অবস্থাপন্ন বলেই মনে হয় ৷ তবে, বাহ্যিক চাকচিক্যের আড়ালে কোনও অনটন ছিল না কিনা, সেই বিষয়ে নিশ্চিত নন স্থানীয় বাসিন্দারা ৷ তাছাড়া, এমনও হতে পারে যে আর্থিক সমস্যা না থাকলেও অন্য কোনও অনভিপ্রেত ঘটনায় জড়িয়ে পড়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা ৷ অনেক সময় ব্যক্তিগত সম্পর্কের টানাপোড়েনে খুন, আত্মহত্য়ার মতো ঘটনা ঘটে ৷ এক্ষেত্রেও তেমনটা হয়েছে কিনা, খতিয়ে দেখছে পুলিশ ৷
প্রশ্ন আরও আছে ৷ পরিবারের তিনজনই আত্মহত্যা করেছেন, নাকি কোনও একজন বাকি দু'জনকে খুন করে আত্মহত্যা করেছেন, সেটাও এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয় ৷ তবে, এই ঘটনা খুন-আত্মহত্যা বা গণআত্মহনন, যাই হোক না কেন, এর পিছনে কারণ ঠিক কী, তা এখনও জানতে পারেনি পুলিশ ৷ বৃহস্পতিবার সকালে দেখা যায়, হনুমন্তের বাড়ির বাইরে গ্রামবাসীর ভিড় উপচে পড়েছে ৷ তাঁদের কোনও মতে সামাল দিয়ে তদন্তের কাজ শুরু করেছে পুলিশ ৷ মৃতদের প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে ৷ তাঁদের আত্মীয়দের সম্পর্কেও খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে ৷ এই পরিবার, বা পরিবারের কোনও সদস্য কোনও ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছিলেন কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷ মৃতদের মোবাইল ফোন, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট প্রভৃতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷