বেমেতরা (ছত্তিশগড়), 15 ডিসেম্বর: সাতসকালে ঘুম থেকে উঠেই ঘাবড়ে গিয়েছিলেন ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) এক প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দারা ৷ তাঁদের গ্রামের ঠিক বাইরের অংশেই পড়ে ছিল অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবকের ক্ষতবিক্ষত দেহ ৷ দেখে মনে হচ্ছিল, মুগুর জাতীয় ভারী কোনও কিছু দিয়ে তাঁকে মেরে থেঁৎলে দেওয়া হয়েছিল ! বুধবার সকালে এই ঘটনা ঘিরে হুলস্থুল পড়ে যায় বেমেতরা (Bemetara) জেলার নওয়াগড় অঞ্চলের খৈরা গ্রামে ৷
এখানেই শেষ নয় ৷ অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের দেহ উদ্ধারের (Unidentified Body Recovered) সঙ্গেই ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় কিছু 'চিঠি' ৷ খাতা বা ডায়েরির পৃষ্ঠা ছিঁড়ে সেগুলি লেখা হয়েছিল ৷ তারপর আবার সেই 'চিঠি' ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করে দেওয়া হয় ৷ তাতে কোনও এক অচেনা ব্যক্তি নিজেকে 'রাজা' বলে সম্বোধন করেছেন ! দাবি করেছেন, তিনিই এই যুবককে খুন করেছেন ৷ একইসঙ্গে তাঁর হুঁশিয়ারি, আগামী 18 ডিসেম্বর একইভাবে আরও একটি খুন করবেন তিনি ! পুলিশের যদি ক্ষমতা থাকে, তারা যেন তাঁকে আটকায় !
আরও পড়ুন: অটোয় ধাক্কা মেরে থেমে গেলেন স্কুলবাসের মদ্যপ চালক ! তটস্থ 40 খুদে পড়ুয়া
দেহ উদ্ধারের থেকেও মৃত্যুর 'শমন' জারি করা এই 'খোলা চিঠি'ই পুলিশের কাছে সবথেকে বেশি মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ৷ ঘটনার খবর পাওয়ার পরই সেখানে পৌঁছে যান স্থানীয় থানার প্রতিনিধিরা ৷ এই হুঁশিয়ারি কোনও 'ফাঁকা আওয়াজ', নাকি সত্যিই 'সিরিয়াল কিলিং'য়ের (Serial Killing) হুমকি, আপাতত সেটাই বোঝার চেষ্টা করছে পুলিশ ৷
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পঙ্কজ প্য়াটেল ৷ এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "বুধবার সকালে আমাদের কাছে এই ঘটনার খবর আসে ৷ বেমেতরা জেলার খৈরা গ্রামের সীমানার বাইরে একটি ক্যানেল থেকে আমরা একটি দেহ উদ্ধার করি ৷ আমরা নিহত ব্যক্তির পরিচয় জানার চেষ্টা করছি ৷ ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করেছি আমরা ৷ খুব দ্রুত এই ঘটনার তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ হবে এবং প্রকৃত দোষীকে চিহ্নিত ও পাকড়াও করে আইনানুগ পদক্ষেপ করা হবে ৷"