হানুমাকোমন্ডা, 25 অগস্ট: 'অন্ধ জনে দেহ আলো...মৃত জনে দেহ প্রাণ' এই প্রশ্নটা আমাদের সবার চেনা । সবারই জানা । কিন্তু কে দেবে আলো, কে দেবে প্রাণ? এই প্রশ্নটা সহজ হলেও উত্তর অজানা(Meet this Wonder Man of Telangana) । চোখে দেখতে না পাওয়া বা অন্য কোনও শারীরিক প্রতিবন্ধকতা থাকাটাকে কারও অক্ষমতা হিসেবে দেখাই আমাদের সমাজের দস্তুর । তবে এ সমাজে কিছু এমন মানুষ থাকেন যাঁদের কাছে এই সব প্রতিবন্ধকতাই চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে ভালবাসেন । ঠিক এরকমই এক ব্যক্তির সন্ধান মিলল তেলেঙ্গানার হানুমাকোমন্ডায় (Hanamkonda district of Telangana) । নাম চিন্তম রাজা । বয়স 62 বছর । চোখ হারান 5 বছর বয়সে। কিন্তু যা আছে তা হল অসীম সাহস আর অদম্য আত্মবিশ্বাস ।
চোখ নেই বলে কারও উপর নির্ভরশীল হয়ে থাকতে হবে এমন শব্দ নেই তাঁর অভিধানে । তিনি নিজেই নিজের সব কাজ করেন । পেশা মোটর ঠিক করা । শুধু কি এটুকু? বাড়ির কাজও করছেন একাই । ইচ্ছা হলেই নেমে যাচ্ছেন পুকুরে । মন ভাল থাকলে থালা বাজিয়ে গানও গাইছেন গলা খুলে । টিভির সামনে বসছেন । কান পাতছেন রেডিওতে ।
আরও পড়ুন: বিলকিস বানোর 11 ধর্ষকের মুক্তি, গুজরাত ও কেন্দ্র সরকারের মত জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট
বাবা -মার মৃত্যুর পর গত 30 বছর এভাবেই তাঁর দিন কাটছে । সাধারণ মোটর তো কোন ছাড়, কৃষিকাজের জন্য ব্যবহৃত বড় মোটরও সারিয়ে দিচ্ছেন অনায়াস দক্ষতায় । এটুকু তে অবাক হয়ে গেলে আপনার জন্য একটা সংলাপ রেখে যাওয়া দরকার- পিকচার আভি বাকি হ্যায় মেরে দোস্ত । শারীরিক প্রতিবন্ধকতার অন্ধকার তাঁর মনে প্রভাব ফেলতে পারেনি । আর পাঁচটা বাড়ির মতো তাঁর বাড়িতেও আছে টিভি । আছে হোমথিয়েটারও । নাগার্জুনের সিনেমা তাঁর সবচেয়ে পছন্দের । মাঝেমধ্যেই নার্গাজুনের ছবির সংলাপ বলেন তিনি । আসলে নাগার্জুন পর্দার হিরো হলে চিন্তমও কম যান না। সমস্ত প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে তিনি নিজেও একজন হিরো । তাঁর দিনলিপিতে লাইট-ক্যামেরা অ্যাকশন নেই । আছে, অফুরান জেদ আর ইচ্ছাশক্তি ।