নয়াদিল্লি, 1 নভেম্বর: 47 বার লগ-ইন করা হয়েছিল তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের সংসদীয় অ্য়াকাউন্ট ৷ অভিযোগ, দুবাই থেকে মহুয়ার অ্যাকাউন্ট লগ-ইন করা হয়েছিল ৷ আর যা নিয়ে একবার ফের জল্পনা শুরু হয়েছে ৷ তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে ঘুষ নিয়ে সংসদে প্রশ্ন করার অভিযোগ করেছিলেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে ৷ 'ক্যাশ-ফর-কোয়েরি' অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে লোকসভার এথিক্স কমিটি ৷ সাংসদ মহুয়া মৈত্র কমিটির সামনে হাজির হওয়ার একদিন আগে তাঁর বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ সামনে এল ৷
বিজেপি সাংসদের অভিযোগ, মহুয়া সংসদে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করার ক্ষেত্রে ব্যবসায়ী দর্শন হিরানন্দানির নির্দেশে দুবাই-ভিত্তিক এক সুপরিচিত ব্যবসায়ী পরিবারের কাছ থেকে ঘুষ এবং সুবিধা নিয়ে নিয়েছিলেন। এমনকী এক্ষেত্রে তাঁর সংসদীয় অ্যাকাউন্টের অ্যাক্সেসও ওই ব্যবসায়ীকে দিয়েছিলেন মহুয়া ৷ যদিও এর আগে মহুয়া স্বীকার করেছেন, তিনি হিরানন্দানির সঙ্গে তাঁর লগ-ইন-এর বিষয়টি শেয়ার করেছেন ৷ কারণ হিসাবে তিনি দাবি করেছেন, তাঁর দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিরনন্দানি ৷ তবে কোনও আর্থিক সুযোগ-সুবিধার কথা অস্বীকার করেছেন তৃণমূল সাংসদ ৷ একই সঙ্গে, জোরের সঙ্গে মহুয়া জানিয়েছেন, যে প্রশ্নগুলি তিনি সংসদে করেছেন তা তাঁর নিজেরই ছিল।
নিশাকান্ত দুবে অভিযোগ করেছেন, মহুয়া মৈত্র তাঁর সংসদীয় পোর্টাল লগ-ইন এবং পাসওয়ার্ড একজন বহিরাগতের সঙ্গে শেয়ার করে আদতে জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে আপস করেছেন ৷ এমনকী তথ্য গোপন রাখার জন্য সাংসদের স্বাক্ষরিত চুক্তির উল্লেখ করে দুবে জানিয়েছেন, মহুয়া এই চুক্তি লঙ্ঘন করেছেন ৷ সুতরাং তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ ৷ বুধবার ঝাড়খণ্ডের গোড্ডার বিজেপি সাংসদ 'মিডিয়া রিপোর্ট' উল্লেখ করে জানান, মহুয়া মৈত্রের লগ-ইন দুবাইতে হিরানন্দানির জায়গা থেকে 47 বার করা হয়েছিল ৷ সংসদে যত প্রশ্ন করা হয়েছিল সব সেখানে রয়েছে।
আরও পড়ুন: হিরানন্দানিকে প্রশ্ন করতে চান মহুয়া, চিঠি এথিক্স কমিটিকে
এক্স হ্যান্ডেলে দুবে লিখেছেন, "যদি এই খবরটি সত্য হয়, তাহলে দেশের সব সাংসদদের মহুয়াজির দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো উচিত। আমরা কি পুঁজিপতিদের স্বার্থপরতা প্রচারের জন্য সাংসদ হয়েছি ৷" কমিটি বিষয়টি তদন্ত করার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এবং তথ্য ও প্রযুক্তিমন্ত্রকের কাছ থেকে সহায়তা নিয়েছে বলে খবর ৷ অন্যদিকে, ব্যবসায়ী হিরনন্দানি নিজেও একটি হলফনামা দাখিল করেছিলেন, যেখানে তিনি ঘুষ দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন ৷ ব্যবসায়ীর দাবি ছিল, তিনি মহুয়াকে টাকা এবং সুযোগ-সুবিধা দিয়েছিলেন যাতে তিনি সংসদে আদানি গ্রুপ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে লক্ষ্য করে প্রশ্ন করতে পারেন। (পিটিআই)