আগরতলা, 2 অগস্ট : একসময় কংগ্রেস নেতা ছিলেন ৷ তার পর যোগ দেন তৃণমূলে ৷ সেখান থেকে বিজেপিতে ৷ 2019 সালে লোকসভা নির্বাচনে টিকিট না পেয়ে যোগ দেন কংগ্রেসে ৷ এবার সুবল ভৌমিক তাঁর আর একটি পুরানো দল তৃণমূলে ফিরে এলেন ৷ আর তৃণমূলে ফিরে অকপটে জবাব দিলেন একাধিক প্রশ্নের ৷
তৃণমূলে যোগ দিলেন কেন?
সুবল ভৌমিক : এই রাজ্যে চার বছর হয়ে গেল বিজেপির সরকার চলছে ৷ রাজ্যে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ৷ সাধারণ মানুষ বর্তমান সরকারের উপর বীতশ্রদ্ধ ৷ মানুষের কথা ভেবে, তাঁদের সমস্যার কথা উপলব্ধি করে, তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর কথা বিবেচনা করেই তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত ৷
এই সিদ্ধান্তের পিছনে বাংলার রাজনৈতিক পরিস্থিতির কোনও সম্পর্ক আছে ?
সুবল ভৌমিক : একশো শতাংশ আছে ৷ আসলে দশকের পর দশক বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লড়াই করে চলেছেন ৷ তাঁর এই লড়াই-আন্দোলন আমাদের উদ্বুদ্ধ করেছে ৷ বুঝেছি, মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য তাঁর পথই একমাত্র সঠিক ৷
ত্রিপুরার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কী বলবেন ?
সুবল ভৌমিক : সম্পূর্ণ এক ব্যতিক্রমী পরিস্থিতি চলছে ত্রিপুরাজুড়ে ৷ এখানে বাক-স্বাধীনতা হরণ করা হচ্ছে ৷ সাধারণ মানুষের কোনও অধিকার নেই ৷ বেকারদের চাকরি নেই ৷ সব থেকে বড় কথা কর্মসংস্থানের জন্য এই সরকার কোনও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করেনি ৷
এক জন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বিপ্লবকুমার দেব সম্পর্কে কী বলবেন ?
সুবল ভৌমিক : উনি সম্পূর্ণ স্বপ্নের জগতে রয়েছেন ৷ একাধিক মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ৷ দিয়ে চলেছেন ৷ আর এই অরাজক পরিস্থিতি থেকে মানুষকে মুক্তি দিতে পারেন এক মাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷
এর আগেও ত্রিপুরাতে তৃণমূল সংগঠন শুরু করেছিল ৷ ব্যর্থ হয় ৷ এবার কতটা আশা করছেন ?
সুবল ভৌমিক : এটা ঠিক আগেও চেষ্টা হয়েছিল ৷ তখন অনেক কিছু ভুলত্রুটি ছিল ৷ সমস্যা ছিল ৷ এবার অনেক প্রফেশনাল ভাবে বিষয়টাকে দেখা হচ্ছে ৷ আশা করছি, অতীতের ভুল এবার আর হবে না ৷
কী রকম ভুল, একটু বুঝিয়ে দেবেন...
সুবল ভৌমিক : এটা পুরোপুরি দলের অভ্যন্তরীণ বিষয় ৷ তবে এটুকু বলতে পারি সে সময় পেশাদারিত্বের বড্ড অভাব ছিল ৷ এখন অনেক সংগঠিত হয়েছি ৷ যত দিন এগোবে ততই মজবুত হবে ৷
সে দিন যাঁরা তৃণমূলে ছিলেন, আজ তাঁরা অন্য দলে ৷ যদি তৃণমূলে ফিরতে চান, দলে নেবেন?
সুবল ভৌমিক : রাজনীতিতে সব কিছুকেই স্বাগত জানাতে হয় ৷ দলের আদর্শ, চিন্তাভাবনা, মতামত সব কিছু মেনে যদি কেউ ফিরতে চান, অবশ্যই স্বাগত জানানো হবে ৷
মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মানিক সরকার এবং বিপ্লব দেব কাকে কত নম্বর দেবেন?
সুবল ভৌমিক : বিপ্লব দেবের নাম কোনও দিন ত্রিপুরার মানুষ শোনেননি ৷ ভিন রাজ্যের একজনকে জোর করে ত্রিপুরার মানুষের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ স্বাভাবিক ভাবেই এই সরকারের সঙ্গে মানুষের কোনও যোগ নেই ৷ অন্যদিকে, সিপিএম পার্টির মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মানিক সরকারকে দেখেছিলাম ৷
ত্রিপুরাতে 2023-এ নির্বাচন, কতটা আশাবাদী ?
সুবল ভৌমিক : ত্রিপুরায় পরিবর্তেনর বিষয়ে আমরা একশো শতাংশ আশাবাদী ৷ শুধু ত্রিপুরা নয়, কেন্দ্রেও বিপুল জনসমর্থন নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্ন সফল হবে ৷ বিপুল জনসমর্থন নিয়ে সমমনোভাবপন্ন দলগুলোর সরকার গঠন হবে ৷ সব থেকে বড় কথা, বিভিন্ন মতাদর্শের দলগুলোকে সমমনোভাবপন্ন করে সরকার গঠন সম্ভব হবে ৷
এই সংক্রান্ত খবর : নাড্ডার কনভয়ে হামলার প্রতিশোধ ? ত্রিপুরায় পৌঁছতেই অভিষেকের গাড়িতে লাঠির ঘা !