নিজামাবাদ, 18 ডিসেম্বর: তেলেঙ্গানার নিজামাবাদ জেলায় ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড ৷ খুন একই পরিবারের ছ'জন সদস্য় ৷ সম্পত্তি সংক্রান্ত কারণে এক সপ্তাহের মধ্যে পরিবারের ছ'জন সদস্যকে খুন করে অভিযুক্ত ৷ 9 ডিসেম্বর এই হত্যাকাণ্ডের থেকে শুরু ৷ হত্যাকাণ্ডের কথা জানাজানি হয়ে যায় যখন পুলিশ অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য় আটক করতে আসে ৷
খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত এই ব্যক্তির নাম প্রশান্ত ৷ সে প্রথম খুন করে তার বন্ধু প্রসাদকে ৷ সম্পত্তির লোভে বন্ধুকে খুন করে তাঁর মৃতদেহ ডিচপল্লীর একটি হাইওয়ের ধারে পুঁতে দেয় সে ৷ এরপর প্রশান্ত বন্ধু প্রসাদের বাড়িতে যায় ৷ তাঁর স্ত্রীকে জানায় পুলিশ প্রশান্তকে আটক করেছে ৷ এইভাবেই তাঁকে বাড়ি বের করে এনে খুন করে অভিযুক্ত ৷ পরে বরসার কাছে গোদাবরী নদীতে লাশটিকে ভাসিয়ে দেয় ৷
প্রশান্ত এরপরের লক্ষ্য ছিল প্রসাদের বোন এবং তাঁর দুই সন্তান ৷ একইভাবে পুলিশের কথা বলে প্রসাদের বোন ও দুই সন্তানকেও ঠাণ্ডা মাথায় খুন করে অভিযুক্ত ৷ পোচামপাদের কাছে একটি ব্রিজ থেকে এই তিনটি মৃতদেহও সে খালের জলে ফেলে দেয় ৷ এরপরের থামেনি প্রশান্ত ৷ সে শেষ খুন করে প্রসাদের আরেক বোনকে ৷ সদাশিবনগরের কাছে কামাররেড্ডি নামক একটি জায়গায় সে মৃতদেহটি পুড়িয়ে দেওয়ারও চেষ্টা করে ৷ তখনও পর্যন্ত কেউই এতগুলি খুনের ঘটনা জানতে পারেনি ৷
এরপর স্থানীয় কিছু মানুষজন একটি আধপোড়া মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেয় ৷ এই মৃতদেহের বিষয়ে খোঁজ নিতে হয় পুলিশের নজর যায় প্রশান্তের দিকে ৷ পুলিশ যখন তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে তখনই ঘটনার কথা জানতে পারে পাড়া প্রতিবেশিরা ৷ এরপর পুলিশের জেরার সামনে খুনের কথা স্বীকার করে নেয় প্রশান্ত ৷ সে জানায়, প্রথম তিনটি খুন সে একাই করেছে ৷ আর বাকি তিনটি খুনের ক্ষেত্রে তাকে সাহায্য় করেছে তারই কয়েকজন বন্ধু ৷ প্রসাদের বাড়ির লোভেই ঘটানো হয়েছে এই ঘটনা ৷ এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় আরও তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ ৷
আরও পড়ুন: