আমেদাবাদ, 30 মার্চ: আমেদাবাদে বড়সড় চুরির অভিযোগ। প্রায় 13 কোটি টাকার সোনা নিয়ে চম্পট দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে ৷ তার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেছেন ব্যবসায়ী। আমেদাবাদ থেকে মুম্বই 25 কেজি সোনা পাঠাচ্ছিলেন তিনি। বিমান বা ট্রেনে নয়, আধুনিক বাসে এক কর্মীকে দিয়ে এই সোনা মুম্বই পাঠানো হচ্ছিল ৷ অভিযোগ, ওই ট্রাভেলসের কয়েকজনের সহযোগিতায় একেধিক বার ইনোভা গাড়ি বদল করে সোনা পাচার করেন অভিযুক্ত কর্মী ৷ তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আমেদাবাদের নিকোল এলাকার 42 বছর বয়সি ব্যবসায়ী বিজয়ভাই থুমর দাবি করেছেন, সিজি রোডে এবং মানিকচকে তাঁর অফিস রয়েছে। গত তিন বছর ধরে সোনার ব্যবসা করছেন। আমেদাবাদেরই বাসিন্দা যশ চিরাগভাই পান্ডে গত দুই বছর তাঁর অফিসে কর্মরত ৷ যশের বাবা চিরাগ পান্ডের সঙ্গে দীর্ঘ পরিচয়ের সুবাদেই যশকে কাজের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করেছেন ওই ব্য়বসায়ী ৷
ব্যবসায়ী আরও দাবি করেছেন, গত জানুয়ারি মাসে সুরাতের ইউনিক এন্টারপ্রাইজেস থেকে 13.50 কোটি টাকার 25 কেজি সোনা কিনেছিলেন। এই সোনা মুম্বইতে পাঠানোর কথা ছিল ৷ এর জন্য় ব্যবসায়ী তাঁর বন্ধু পার্থ নরেন্দ্রকুমার শাহ, যশ পান্ডিয়া এবং সহকর্মী মেহুলকে মানিকচকের অফিস থেকে 25 কেজি সোনা দেন। যশ পান্ডকে যে ব্য়াগ দেওয়া হয়েছিল তাতে 15 কেজি সোনা ছিল বলে দাবি করেছেন ওই ব্য়বসায়ী ৷ পাশাপাশি তিনি জানান, 18 জানুয়ারি রাত 11টায় লক্ষ্মী ট্রাভেলসের বাসে সোনা নিয়ে সকলেই মুম্বই রওনা হয়েছিলেন ৷
ব্যবসায়ী পুলিশকে জানিয়েছেন, যশ পান্ডিয়ার বন্ধু আদিত্য শাহ তাঁকে ফোন করে জানান, বাস ভারুচ এবং অঙ্কলেশ্বরের মধ্যে একটি হোটেল প্রাতঃরাশের জন্য থামলে একটা ইনোভা গাড়িতে সোনা ভর্তি সবকটি ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায় যশ পান্ডে। এরপর থেকে যশের সঙ্গে আর যোগাযোগ করা যায়নি বলে দাবি ব্য়বসায়ীর ৷ প্রায় তিন দিন কেটে গেলেও যশের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব না হওয়ায় অবশেষে ব্যবসায়ী 23 জানুয়ারী আহমেদাবাদ ক্রাইম ব্রাঞ্চে এই বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ৷
আরও পড়ুন: বালি ভাস্কর্যে রাম নবমীর শুভেচ্ছা শিল্পী সুদর্শন পট্টনায়েকের