আগ্রা, 6 জুন: বাড়িওয়ালার ন'বছরের মেয়েকে যৌন নির্যাতন করে খুনের অভিযোগ উঠল ভাড়াটিয়ার বিরুদ্ধে । ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার আগ্রার জগদীশপুরা এলাকায় ৷ সোমবার আচমকাই ওই নাবালিকা নিখোঁজ হয়ে যায় ৷ পরিবারের সঙ্গে নাবালিকাকে খুঁজতে বের হয় ওই অভিযুক্তও ৷ সোমবার রাত 1টা পর্যন্ত অভিযুক্ত পুলিশ ও পরিবারকে বিভ্রান্ত করতে থাকে সে ৷ এরপর পুলিশের সন্দেহ হওয়ায় পুলিশ অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তারপরেই খুনের কথা স্বীকার করেন ওই ভাড়াটিয়া ৷ অভিযুক্তকে গ্রেফতারির পর পরবর্তীতে আলমারি থেকে নাবালিকার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
জগদীশপুর পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, নাবালিকার বাবা একজন কাঠের মিস্ত্রি এবং মা পরিচারিকার কাজ করেন। সোমবার বিকেলে মা তাঁর ছোট ছেলে ও মেয়েকে বাড়িতে রেখে কাজে গিয়েছিলেন । তবে বাড়ি ফিরে তিনি মেয়েকে খুঁজে পাননি। মেয়ের ব্যাপারে তিনি ভাড়াটিয়া সানিকে জিজ্ঞেস করেন। সানি বাড়িওয়ালাকে জানান, বিকেল থেকে তাঁর মেয়েকে তিনি দেখেননি। এরপরেই মেয়ের খোঁজ করতে শুরু করেন ওই মহিলা। সন্ধ্যায় মহিলার স্বামী বাড়িতে এলে দু'জনে মিলে মেয়েকে খুঁজতে বের হন। অভিযুক্তও তাঁদের সঙ্গে ছিলেন। মেয়ের কোনো হদিশ না-পেয়ে সোমবার গভীর রাতে তাঁরা জগদীশপুরা থানার দ্বারস্থ হন। মা-বাবা, মেয়ের নিখোঁজের বিষয়টি পুলিশকে জানান ।
দম্পতির অভিযোগের ভিত্তিতে জগদীশপুরা থানার পুলিশও বালিকার খোঁজ শুরু করে । পুলিশ সিসিটিভি খতিয়ে দেখে । কিন্তু মেয়েটিকে কোনও ফুটেজের মধ্যে দেখা যায় না । এর থেকে জানা যায় মেয়েটি বাড়ির বাইরে যায়নি । এ নিয়ে পুলিশ ভাড়াটিয়া সানিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ৷ সোমবার গভীর রাত পর্যন্ত তিনি পুলিশ ও পরিবারের সদস্যদের বিভ্রান্ত করতে থাকে ।
আরও পড়ুন: ফাঁকা বাড়িতে নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ, গ্রেফতার যুবক
ডিসিপি সিটি বিকাশ কুমার জানান, ভাড়াটিয়া সানিকে কড়া জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি মেয়েটিকে হত্যার কথা স্বীকার করেন । এরপর অভিযুক্তের কথামতো পুলিশ তাঁর ঘরের আলমারি খুলে দেহটি উদ্ধার করে ৷ দেহটি চাদরে মোড়ানো ছিল। বালিকার মাথায় আঘাতের চিহ্ন ছিল বলে জানা গিয়েছে ৷ পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে । যৌন নির্যাতনের পর নাবালিকাকে খুন করা হয়েছে বলে আশংকা করা হচ্ছে । অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ ।