হায়দরাবাদ, 5 ডিসেম্বর : করোনা আবহের মধ্যে বছর দুয়েক ধরে কাটানো এ দেশের মানুষের মনে এখন ভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক অনেকটাই কম ৷ তবে এর পাশাপাশি কোভিড নিয়মবিধি পালনে এসেছে শিথিলতা ৷ করোনা টিকাকরণ শুরু হওয়ার পর মাস্ক পরা, শারীরিক দূরত্ব মেনে চলা, স্যানিটাইজ়ার ব্যবহারের মতো অভ্যাসগুলিতেও ছেদ পড়েছে ৷ ট্রেনে বাসে বাদুড়ঝোলা ভিড় আর মাস্ক না পরেই পথে বেরোনো মানুষজনের ছবি সেটারই প্রমাণ ৷ তবে করোনা যে এখনও চলে যায়নি তা সাধারণ মানুষকে আরও একবার মনে করিয়ে দিয়েছে নয়া ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন ৷ বলছেন, টাটা ইনস্টিটিউট ফর জেনেটিকস এবং সোসাইটির ডিরেক্টর রাকেশ মিশ্র ৷
করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কাও করা হচ্ছিল ৷ তবে তৃতীয় ঢেউ আসার আগেই দেশের প্রতিটি মানুষকে করোনা টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ মানুষ যখন একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে ঠিক তখনই ওমিক্রন নতুন করে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে ৷ ইতিমধ্যেই কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, গুজরাতে ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে ৷ কেন্দ্র ও রাজ্যগুলি বিদেশ থেকে আগতদের জন্য বিশেষ নির্দেশিকা জারি করেছে ৷ মহারাষ্ট্রে ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ মিলতেই বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের সাতদিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারানটিনের কথা ঘোষণা করেছে মহারাষ্ট্র সরকার ৷
আরও পড়ুন : Omicron in India : কর্নাটক-গুজরাতের পর এবার মহারাষ্ট্রেও, ভারতে বাড়ছে ওমিক্রন আতঙ্ক
ভারতে ওমিক্রনের প্রবেশ নিয়ে টাটা ইনস্টিটিউট ফর জেনেটিকস এবং সোসাইটির ডিরেক্টর রাকেশ মিশ্র বলেছেন, "অতিমারি যে শেষ হয়ে যায়নি তারই বার্তা দিচ্ছে ওমিক্রন ৷ যদিও বর্তমানে আমাদের অবস্থান বেশ ভাল ৷ আমরা অতিমারি থেকে পাঠ নিয়েছি ৷ এই নয়া ভ্যারিয়েন্টের মোকাবিলা করার ক্ষমতা রয়েছে ৷ কারণ টিকাকরণ চলছে এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থা আগের তুলনায় অনেক বেশি এর মোকাবিলায় সক্ষম ।"
এরই সঙ্গে সতর্ক করে তিনি বলেছেন, "তবে অসতর্ক হয়ে এই সুবিধার অপব্যবহার করা উচিত নয় ৷ সাধারণ মানুষকে সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করতে হবে এবং দুটি টিকারই ডোজ় নিতে হবে ৷ আর সংক্রামিতের সংখ্যা জানতে সরকারের উচিত পরীক্ষা চালিয়ে যাওয়া ৷ যদি নতুন কোনও ভ্যারিয়েন্ট সামনে আসে, তাহলে স্বল্প সময়ের মধ্যে যাতে ভাইরাস ছড়ানো রোধ করা যেতে পারে ৷"
আরও পড়ুন : Reinfections with Omicron: পুনরায় সংক্রমণের সম্ভাবনা 3 গুণ বেশি ওমিক্রনে, রিপোর্ট বিজ্ঞানীদের