নয়াদিল্লি, 8 ডিসেম্বর: সংবিধানের 370 ধারা বাতিলের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার রায় আগামী সোমবার দেবে সুপ্রিম কোর্ট ৷ এই মামলার শুনানি শেষ হয় গত 5 সেপ্টেম্বর ৷ সেদিন রায় সংরক্ষণ করেছিল শীর্ষ আদালত ৷ সেই রায়ই সোমবার জানাবে সুপ্রিম কোর্ট ৷
2019 সালে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেয় কেন্দ্রীয় সরকার ৷ সংবিধানের 370 ধারা অবলুপ্তির জেরেই ওই মর্যাদা চলে যায় ৷ একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার জম্মু-কাশ্মীরের পূর্ণরাজ্যের তকমা তুলে দিয়ে ওই অঞ্চলকে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভেঙে দেয় ৷ তার বিরুদ্ধে একাধিক আবেদন জমা পড়ে সুপ্রিম কোর্টে ৷
সেই আবেদনগুলির শুনানি হয় ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে তৈরি একটি বেঞ্চে ৷ ওই বেঞ্চে আরও চারজন বিচারপতি ছিলেন ৷ তাঁরা হলেন, বিচারপতি এসকে কৌল, সঞ্জীব খান্না, বিআর গাভাই এবং সূর্য কান্ত ৷ 16 দিন ধরে শুনানি হয় ৷ কপিল সিবাল, রাজীব ধবন, গোপাল সুব্রহ্মণ্য়ম, দুষ্যন্ত দাভে, জাফর শাহ, গোপাল শঙ্করনারায়ণনের মতো সিনিয়র আইনজীবীরা সওয়াল করেন আদালতে ৷ কেন্দ্রের তরফে এই মামলায় সওয়াল করেন অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কটারমানি এবং সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা । মামলাকারীদের তরফেও আরও কয়েকজন আইনজীবী ছিলেন ৷
আবেদনকারীদের বক্তব্য, সুপ্রিম কোর্ট শুনতে শুরু করে গত 2 অগস্ট ৷ মহম্মদ আকবর লোনের হয়ে প্রথম সওয়ালে অংশ নেন আইনজীবী কপিল সিবাল ৷ তিনি আদালতে জানান যে 370 ধারা বাতিলের সিদ্ধান্ত একমাত্র সংবিধান পরিষদ নিতে পারবে বলে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের মধ্যে বোঝাপড়া ছিল ৷ তিনি আরও জানান, জম্মু ও কাশ্মীর অবশ্যই ভারতের সঙ্গেই রয়েছে ৷ কিন্তু 370 ধারার মাধ্যমে সেখানে একটা বিশেষ সম্পর্ক ছিল ৷
সাজ্জাদ লোনের নেতৃত্বাধীন জম্মু ও কাশ্মীর পিপলস কনফারেন্সের আইনজীবী ছিলেন রাজীব ধবন ৷ তিনি আদালতে দাবি করেন, 1947 সালে জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অংশ হয় ৷ তার পর একটি চুক্তি সাক্ষরিত হয় ৷ সেই চুক্তি অনুযায়ী ভারত ও জম্মু-কাশ্মীরের সংবিধানের মধ্যে সমসাময়িক প্রতিফলন ছিল ৷ তাই সংবিধানের 370 ধারা অবলুপ্ত করে ভারত ঐতিহাসিকভাবে, আইনগতভাবে এবং সাংবিধানিকভাবে তার প্রতিশ্রুতি ভেঙেছে ৷ যেটা করা যায় না ৷
অন্য মামলাকারীদের তরফে আদালতে আরও যুক্তি দেওয়া হয় যে অন্যান্য রাজ্যগুলির মতো ভারতের সঙ্গে এক হওয়ার কোনও চুক্তিতে জম্মু ও কাশ্মীর সাক্ষর করে ৷ পরে ভারতে সংযুক্ত হওয়ার একটি চুক্তি হয় ৷
আরও পড়ুন: