নয়াদিল্লি, 18 অক্টোবর: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya) গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (SC on Manik Plea)৷ তাঁর গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ৷ সেই আবেদনের রায়দান রিজার্ভ রাখল শীর্ষ আদালত (Supreme Court)৷
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতিতে সিবিআই তদন্তে গ্রেফতারি থেকে মানিক ভট্টাচার্যকে অন্তর্বর্তী রক্ষাকবচ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট ৷ সেই রায়ের কথা কথা মনে করিয়ে দিয়ে পিটিশনে বলা হয়েছিল, "পিটিশনারকে গ্রেফতার করাটা শুধু সুপ্রিম কোর্টের অন্তর্বর্তী রায়কে লঙ্ঘন করাই নয়, তদন্তকারী সংস্থা পিটিশনারের গ্রেফতারির বিষয়ে তাঁর পরিবারেরও কারওকে না জানিয়ে ভারতীয় দণ্ডবিধির 41বি ধারাকেও লঙ্ঘন করা হয়েছে ৷"
2022 সালের 14 অক্টোবর কলকাতা টু জোনাল অফিসের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট মানিক ভট্টাচার্যকে যে সমন পাঠিয়েছিল এবং তাঁকে যে গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে সুপ্রিম কোর্ট বেআইনি বলে ঘোষণা করুক, এই আবেদন জানিয়েছেন পিটিশনার তথা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি ৷ তাঁর আরও আবেদন, অবিলম্বে তাঁকে মুক্তির নির্দেশ দিক শীর্ষ আদালত ৷
আরও ড়ুন: পর্ষদ সভাপতির পদ থেকে অপসারণের নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ মানিক ভট্টাচার্য
এর আগে, ইডি সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছিল যে, প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতিতে জড়িত বেআইনি অর্থপাচার মামলার অন্যতম মূল অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্য ৷ ইডির তরফে বলা হয়েছিল যে, পিএমএলএ-র আওতায় তদন্তে দেখা গিয়েছে যে, গোটা কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত মূল অভিযুক্ত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি ৷ ইডি আদালতে হলফনামা দাখিল করে জানায়, 2011 সাল থেকে 10 বছরেরও বেশি সময় ধরে পর্ষদের সভাপতি হিসেবে কাজ করেছেন মানিক ভট্টাচার্য ৷ সেই সময় 58,000-এরও বেশি প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করেছে বোর্ড ৷ মানিক ভট্টাচার্য বারবার এই দুর্নীতির তদন্তে তথ্য ও প্রমাণ লোপাট করে অফিসারদের ভুল পথে চালিত করার চেষ্টা করেছেন বলে শীর্ষ আদালতে দাবি করেছিল ইডি ৷