নয়াদিল্লি, 11 মে: 2016 সালে নবম রেবিয়া মামলায় যে রায় আদালত দিয়েছিল, তা পুনর্বিবেচনার জন্য বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট ৷ বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে ৷ ফলে মহারাষ্ট্রে গত বছর যে রাজনৈতিক সংকট হয়েছিল, সেখানে উদ্ধব নাকি শিন্ডে, কোন পক্ষ ঠিক ছিলেন, তা সিদ্ধান্ত ঝুলেই রইল ৷ তা নিয়ে এবার সাত সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ সিদ্ধান্ত নেবে ৷ তবে মারাঠা ভূমির ওই রাজনৈতিক সংকটকে সুপ্রিম কোর্ট গণতন্ত্রের জন্য গুরুতর বিষয় বলে উল্লেখ করেছে ৷
গত বছর জুনে মহারাষ্ট্রে তৈরি হওয়া ওই রাজনৈতিক সংকটের সময় 16 জন বিদ্রোহী বিধায়কের পদ খারিজের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে গোষ্ঠী ৷ সেই মামলার রায় দিতে গিয়ে সর্বোচ্চ আদালত এই নির্দেশ দিয়েছে ৷ এ দিন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের যে ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে, সেখানে বিচারপতি এম আর শাহ, কৃষ্ণ মুরারি, হিমা কোহলি ও পি এস নরসিমাও ছিলেন ৷
নবম রেবিয়া মামলার রায়ে বলা হয়েছিল যে যদি অধ্যক্ষকে অপসারণের সিদ্ধান্ত না হয়, তাহলে তিনি বিধায়কদের পদ খারিজে নোটিস দিতে পারেন না ৷ সেই মামলাকে হাতিয়ার করেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন উদ্ধবরা ৷ বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানিতে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, যদি অধ্যক্ষ মনে করেন তাঁকে অপসারণের প্রস্তাব নিয়ম মেনে হয়নি ৷ তাহলে তিনি বিধায়কদের পদ খারিজের আবেদন নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতেই পারেন ৷
একই সঙ্গে সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছে যে শিবসেনার একনাথ শিন্ডে গোষ্ঠীর ভরত গোগাওয়ালেকে মুখ্য সচেতক করার যে সিদ্ধান্ত মহারাষ্ট্র বিধানসভার অধ্যক্ষ নিয়েছিলেন, তা বেআইনি ছিল ৷ অধ্যক্ষ শুধু সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দল দ্বারা বেছে নেওয়া মুখ্য সচেতককেই অনুমোদন দেবেন ৷
এ দিন আদালতের তরফে মহারাষ্ট্রের তৎকালীন রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারির ভূমিকারও সমালোচনা করা হয়েছে ৷ আদালতের পর্যবেক্ষণ, রাজ্যপালের এমন কোনও ভূমিকা নেওয়া উচিত নয়, যেখানে সরকার পড়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয় ৷
মহারাষ্ট্র সরকারের হয়ে সর্বোচ্চ আদালতে সওয়াল করেন সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা ৷ তিনি জানান, বিদ্রোহী বিধায়করা রাজ্যপালকে চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন যে তাঁরা সরকারকে আর সমর্থন করতে চান না ৷ অন্যদিকে উদ্ধব পক্ষের আইনজীবী কপিল সিব্বল জানান, কোনও দলের কোনও একটি অংশের দাবির ভিত্তিতে রাজ্যপাল আস্থা ভোটের নির্দেশ দিতে পারেন না ৷
আরও পড়ুন: ‘মৃত্যুর পরোয়ানা’ জারি হয়ে গিয়েছে শিন্ডে সরকারের, মন্তব্য সঞ্জয় রাউতের