নয়াদিল্লি, 24 নভেম্বর : বায়ু দূষণের জেরে ভারতের রাজধানীর ঠিক কী পরিস্থিতি, তা নিয়ে সারা বিশ্বকে যে বার্তা দেওয়া হচ্ছে সেটা নিয়েই ভাবা উচিত (the signal are we sending to the world supreme court statement) ৷ দিল্লির দূষণ নিয়ে এমনটাই মনে করে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court on Delhi Pollution Crisis) ৷ বুধবার দিল্লির দূষণ সংক্রান্ত একটি জনস্বার্থ মামলায় (Delhi Pollution crisis PIL) এমনই মত প্রকাশ করা হয়েছে আদালতের তরফে ৷
এদিন ওই মামলার শুনানি হয় দেশের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানা, বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও সূর্যকান্তের বেঞ্চে (CJI NV Ramana Justices DY Chandrachud and Surya Kant) ৷ সেখানে সমস্যার কারণ, সমস্যা মেটাতে কী কী করা প্রয়োজন, তা নিয়ে প্রস্তাব দেওয়া ও আলোচনা হয় ৷
আরও পড়ুন : Supreme Court : দিল্লির দূষণ নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রকে জরুরি বৈঠক ডাকার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, দূষণ সামলাতে সরকারের তরফে যে ব্যবস্থা করা হয়েছে, সেগুলি সবই সাময়িক ভাবে পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্য ৷ কিন্তু একটা পর্যাপ্ত ব্যবস্থা দরকার, যার ভিত্তিতে পরিস্থিতি কখনওই এতটা খারাপ পর্যায়ে পৌঁছবে না ৷ পরিস্থিতির অবনতির কথা মাথায় রেখে যুক্তিসঙ্গত পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে বৈজ্ঞানিক উপায়ে পদক্ষেপ করার পক্ষে মত প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট ৷ বিচারপতিদের মতে, এর জন্য প্রয়োজনে সুপার কম্পিউটারেরও সাহায্য নেওয়া উচিত ৷
শীর্ষ আদালত আরও উল্লেখ করেছে, গতবারের থেকে এবার দূষণের মাত্রায় মারাত্মক পরিবর্তন করা হয়েছে ৷ যদি দূষণের মাত্রা আরও বেড়ে যায়, তাহলে এটা বন্ধ করা যাবে না ৷ তাছাড়া দূষণের জন্য যে সময় নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকবে (ban on the construction and other activities delhi), সেই সময়কালে দিনমজুরদের (Delhi daily wage workers) টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে ৷ রাজ্যের কাছে যে তহবিলগুলি থাকে, সেখান থেকে ওই টাকার ব্যবস্থা করতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট ৷
আরও পড়ুন : Delhi Pollution : দিল্লির দূষণ বাগে আনতে বন্ধ স্কুল, বাড়ি থেকে সরকারি কাজের ফরমান
পঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ ও হরিয়ানায় ফসলের গোড়া পোড়ানো (stubble burning in Punjab UP and Haryana) থেকে দূষণের মাত্রা কতটা হচ্ছে, তা জানতে রাজ্যগুলি বিস্তারিত কোনও অনুসন্ধান করেছে কি না, তা এদিন জানতে চায় সুপ্রিম কোর্ট ৷ এই নিয়ে আদালতের বক্তব্য, আমলারা এতদিন কী করছিলেন ? তাঁদের একসঙ্গে আলোচনায় বসুন ৷ ফসলের ক্ষেতে যান ৷ কৃষকদের সঙ্গে কথা বলুন ৷ বিজ্ঞানীদের সঙ্গে নিয়ে সমাধানের রাস্তা খুঁজে বের করুন ৷
আগামী সোমবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি ৷ আদালত জানিয়েছে, তার মধ্যে দূষণের মাত্রা যদি কিছুটা কমে, তাহলে নিষেধাজ্ঞা কিছুটা শিথিল করা যেতে পারে ৷
আরও পড়ুন : দিল্লির দূষণ দাপট এখন 'মাঝারি' নিয়ন্ত্রিত পর্যায়ে