নয়াদিল্লি, 14 মার্চ: স্ত্রী নাকি মহিলা নন (wife is not female)! তিনি প্রতারণা করে বিয়ে করেছেন ৷ এই অভিযোগে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেছেন স্বামী ৷ তাঁর আবেদনের প্রেক্ষিতে স্ত্রীকে নোটিস পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court issues notice to spouse on husband's plea)৷
মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পিটিশন দাখিল করেছেন স্বামী (husband seeking divorce)৷ সেই মামলায় বিচারপতি সঞ্জয় কিষান কৌল ও বিচারপতি এমএম সুন্দ্রেশের বেঞ্চ শুক্রবার অভিযুক্ত স্ত্রী'র কাছে জবাব তলব করেছে ৷ আদালত বলেছে, "পিটিশনারের আইনজীবী তাঁর আবেদনের 39 নং পাতায় আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেছেন, উত্তরদাতার মেডিক্যাল হিস্ট্রি বলছে যে, তাঁর শরীরে পুরুষাঙ্গ + অসম্পূর্ণ হাইমেন রয়েছে অর্থাৎ তিনি মহিলা নন ৷ চার সপ্তাহের মধ্যে তাঁকে জবাব দেওয়ার জন্য নোটিস দেওয়া হচ্ছে ৷"
2021 সালের 29 জুলাই মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের গোয়ালিয়র বেঞ্চের একটি রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এই মামলা করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে ৷ 2019 সালের 6 মে ট্রায়াল কোর্ট অভিযুক্ত স্ত্রী'র বিরুদ্ধে মামলা করার যে রায় দিয়েছিল, তা খারিজ করে দিয়েছিল হাইকোর্ট ৷ কোনও রকম মেডিক্যাল প্রমাণ ছাড়াই শুধুমাত্র মৌখিক প্রমাণের ভিত্তিতে স্ত্রী'র বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির 420 ধারায় প্রতারণার অভিযোগও খারিজ করে দিয়েছিল মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের গোয়ালিয়র বেঞ্চ ৷ সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন স্বামী ৷
তাঁর আইনজীবী প্রবীণ স্বরূপ বলেছেন, 2016 সালের জুলাই মাসে বিয়ে হয় ওই দম্পতির ৷ বিয়ের পরপরই স্ত্রী ঋতুস্রাব চলার নাম করে তাঁর স্বামীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেননি ৷ এরপর স্ত্রী তাঁর বাপের বাড়িতে চলে যান ৷ 6 দিন পর তিনি শ্বশুরবাড়িতে ফিরে এলে ফের তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করেন স্বামী ৷ তখন তিনি দেখেন, স্ত্রীর শরীরে কোনও যোনিদ্বার নেই ৷ বরং বাচ্চা ছেলেদের মতো একটি ছোট আকারের পুরুষাঙ্গ রয়েছে ৷ এটা চাক্ষুস করার পর ওই ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে মেডিক্যাল চেক-আপ করাতে নিয়ে যান ৷ রিপোর্টে দেখা যায়, তাঁর 'ইমপারফোরেট হাইমেন' অর্থাৎ অসম্পূর্ণ হাইমেন ৷ এ ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ যোনিদ্বারকে ঢেকে রাখে হাইমেন ৷ ডাক্তারা ওই ব্যক্তির স্ত্রীর অঙ্গবিকৃতি কাটাতে অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেন ৷ তবে এও স্পষ্ট করে দেওয়া হয় যে, অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কৃত্রিম যোনি তৈরি করে দেওয়া হলে, সঙ্গম সম্ভব হলেও সন্তানের জন্ম দেওয়া প্রায় অসম্ভব ৷
ডাক্তারি রিপোর্ট পাওয়ার পর পিটিশনার প্রতারিত হয়েছেন বলে অনুভব করেন এবং তাঁর শ্বশুর ও শাশুড়িকে ডেকে বলেন, তাঁদের সন্তানকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে ৷ এরপর বিবাহবিচ্ছেদ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন ওই ব্যক্তি ৷
আরও পড়ুন: Porn film case: পর্ন ছবি কাণ্ডে পুনম পান্ডেকে আগাম জামিন দিল সুপ্রিম কোর্ট