নয়াদিল্লি, 2 জুন : করোনার টিকাকরণ নীতি নিয়ে দেশের শীর্ষ আদালতে মুখ পড়ল কেন্দ্রের মোদি সরকারের ৷ বুধবার সুপ্রিম কোর্ট তার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, 45 বছরের বেশি বয়সীদের জন্য বিনামূল্যে টিকাকরণ এবং তার নীচের বয়সসীমার নাগরিকদের জন্য টাকার বিনিময়ে টিকার নীতি ‘‘দৃশ্যতই অযৌক্তিক এবং বিরক্তিকর’’ ৷
আদালতের মতে, করোনা আবহে টিকাকরণ ‘‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’’ একটি বিষয় ৷ এরপরই আদালত বলে, ‘‘বিভিন্ন রিপোর্ট থেকে এটা স্পষ্ট যে, যাঁদের বয়স 18 থেকে 44 বছরের মধ্যে, তাঁরা যে শুধুমাত্র কোভিড-19 ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, তাই নয় ৷ বরং এই বয়সীরাই করোনায় সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৷ এঁদের অনেককেই দীর্ঘদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকতে হয়েছে ৷ এমনকী অনেকেরই মর্মান্তিক পরিণতি হয়েছে ৷ করোনা প্রাণ কেড়েছে তাঁদের ৷ যেহেতু অতিমারি তার চরিত্র বদলে ফেলেছে, তাই আমরা এমন একটা পরিস্থিতির মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছি, যেখানে 18 থেকে 44 বছর বয়সীদেরও টিকা দেওয়া দরকার ৷ এক্ষেত্রে বিজ্ঞানসম্মতভাবেই টিকাকরণের জন্য বিভিন্ন বয়সসীমার মানুষকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত ৷’’
আরও পড়ুন : টিকার ঘাটতি মেটাতে ফাইজার-মডার্নাকে বিশেষ সুবিধে দিতে পারে কেন্দ্র
এদিন সুপ্রিম কোর্ট এই প্রসঙ্গে যে অর্ডার জারি করেছে, তাতে বলা হয়েছে, ‘‘এই অবস্থায় দেখা যাচ্ছে, 18 থেকে 45 বছরের ব্য়ক্তিদের জন্য টিকাকরণ অত্যন্ত জরুরি ৷ কিন্তু টিকাকরণের প্রথম দু’টি পর্যায়ে নির্দিষ্ট বয়সসীমার জন্যই বিনামূল্যে টিকাকরণের ব্যবস্থা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ পাশপাশি, 18 থেকে 44 বছর বয়সীদের জন্য টাকার বিনিময়ে টিকার নীতি গ্রহণ করা হয়েছে ৷ রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে টাকা দিয়ে টিকা কিনতে বলা হয়েছে ৷ এছাড়া, বেসরকারি হাসপাতালগুলিকেও টাকার বিনিময়ে টিকাকরণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে ৷ দৃশ্যতই এই ঘটনা অযৌক্তিক এবং বিরক্তিকর ৷’’