নয়াদিল্লি, 19 জানুয়ারি: এক অবিবাহিতা তরুণীর গর্ভপাত করানোর ক্ষেত্রে এইমসের বিশেষজ্ঞদের মতামত চাইল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court asks opinion from AIIMS) ৷ আদালতের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, একটি মামলা প্রসঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে এইমসের (All India Institute of Medical Sciences) সহযোগিতা চেয়েছে শীর্ষ আদালত ৷ মামলাকারী তরুণীর বয়স 20 বছর এবং তিনি অবিবাহিতা ৷ ওই তরুণী 29 সপ্তাহের গর্ভবতী ৷ এই সময় তাঁর গর্ভপাত করানো হলে তা নিরাপদ হবে কি না, বৃহস্পতিবার বিশেষজ্ঞদের কাছে সেটাই জানতে চেয়েছে আদালত ৷
এই বিষয়ে এইমসের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে একটি দল গঠন করতে বলা হয়েছে ৷ সেই দলের সদস্যরা ওই তরুণীর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করবেন ৷ তাঁর শারীরিক ও মানসিক অবস্থা খতিয়ে দেখার পাশাপাশি গর্ভস্থ ভ্রূণ কী অবস্থায় রয়েছে, সেটাও দেখতে হবে বিশেষজ্ঞদের ৷ তারপর আদালতে সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ করবেন চিকিৎসকরা ৷ 20 জানুয়ারির (শুক্রবার) মধ্যেই সেই রিপোর্ট জমা দিতে হবে ৷ বিশেষজ্ঞদের এই রিপোর্ট খতিয়ে দেখার পরই মামলার রায় ঘোষণা করবে শীর্ষ আদালত ৷
আরও পড়ুন: বোরখা পরেছিলেন ! উত্তরপ্রদেশের কলেজে ঢুকতে বাধা ছাত্রীদের
এদিন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি পিএস নরশিমা এবং বিচারপতি জেবি পরদিওয়ালার বেঞ্চ এইমস কর্তৃপক্ষকে এই নির্দেশ দেয় ৷ একইসঙ্গে, অ্য়াডিশনাল সলিসিটর জেনারেলকেও এই মামলায় আদালতের সহযোগী হওয়ার নির্দেশ দেয় প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ ৷
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, গর্ভবতী ওই তরুণী বিটেকের পড়ুয়া ৷ তাঁর আইনজীবী আদালতকে জানিয়েছেন, ওই তরুণী বর্তমানে গাজিয়াবাদের একটি হস্টেলে থাকেন ৷ তিনি তাঁর গর্ভস্থ সন্তানকে জন্ম দিতে চান না ৷ তাই গর্ভপাতের আবেদন জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন ৷ কিন্তু, ইতিমধ্য়েই তাঁর শরীরে ভ্রূণের বয়স হয়েছে প্রায় 29 সপ্তাহ ৷ এই স্তরে গর্ভপাত করা আদৌ নিরাপদ কি না, তা নিয়ে নিশ্চিত নয় আদালত ৷ আর সেই কারণেই এই ঘটনায় অবিলম্বে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ চাওয়া হয়েছে ৷
মামলার নির্দেশনামায় প্রধান বিচারপতি বলেন, "এই পর্যায়ে এসে আবেদনকারীর দাবি রক্ষার ক্ষেত্রে আমরা এইমসের মতামত জানতে চাই ৷ আমরা এইমসের ডিরেক্টরকে নির্দেশ দিচ্ছি, অবিলম্বে একটি মেডিক্যাল বোর্ড তৈরি করতে হবে ৷ 20 জানুয়ারির মধ্যেই এই মেডিক্যাল বোর্ড তাদের রিপোর্ট আদালতে পেশ করবে ৷ আদালত জানতে চায়, এই পর্যায়ে গর্ভপাত করা হলে তাতে আবেদনকারীর মৃত্যু হতে পারে কি না ৷"
আদালত রেজিস্ট্রারকে নির্দেশ দিয়েছে, যাতে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের এই নির্দেশ অবিলম্বে এইমস কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেওয়া হয় ৷ আগামী 23 জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে এবং ওই দিনই মামলার রায় ঘোষণা করতে চায় আদালত ৷